স্টাফ রিপোর্টার: ২২০ বস্তা ধান নিয়ে গত দশ দিন ধরে ট্রাকসহ নিখোঁজ রয়েছেন এক চালক। সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বাজার থেকে কুমিল্লার বাটেরা কংশনগর জাপান বাংলা অটোরাইসমিলে ওই ধান পৌঁছে দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু অদ্যাবদী কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না, চালকের মোবাইল ফোনটিও বন্ধ রয়েছে।
এদিকে ধান ব্যবসায়ী মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর নইনার পাড় বাজারের আমির আলী অটোরাইসমিলের স্বত্বাধিকারী মো. আমির আলী, গাড়ি নিখোঁজ হওয়ার পর কয়েক দফা দিরাই থানা ও সুনামগঞ্জ সদর থানায় ধর্ণা দেন সাধারণ ডাইরি করার জন্য। কিন্তু কোন থানায় তার সাধারণ ডাইরি গ্রহণ করেনি। অবশেষে আট দিনের মাথায় সুনামগঞ্জ সদর থানা তার অভিযোগ গ্রহণ করে। বর্তমানে সুনামগঞ্জ সদর থানা পুলিশ অভিযোগটি তদন্ত করছে বলে ধানের মালিক জানিয়েছেন।
ধান ব্যবসায়ী আমির আলী গত ২৭ এপ্রিল মেসার্স সুনামগঞ্জ মর্ডান ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির মাধ্যমে একটি ট্রাক নং (ঢাকা-মেট্রো-ট-২০-৫৯৭৯) কে ১৭ হাজার টাকায় ভাড়া করেন। এদিন রাত নয়টার দিকে হক সুপার মার্কেট ওয়েজখালি সুনামগঞ্জ থেকে ২২২ বস্তা (৪৪৪ মণ) ধান নিয়ে কুমিল্লা জেলার বাটেরা কংশনগর জাপান বাংলা আলি আশ্রাফ মেম্বারের অটোরাইসমিলের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ট্রাকচালক সাজু মিয়া।
রাতে কয়েক ঘণ্টা চালকের মোবাইলে যোগাযোগ থাকলেও। সকালে ফোন দিলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। যা এখন পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে।
ধানের মালিক আমির আলী জানান, এ ব্যাপারে তিনি গত ২৭ এপ্রিল এর পর বেশ কয়েক দফা দিরাই থানা ও সুনামগঞ্জ সদর থানায় ধর্ণা দেন সাধারণ ডায়েরি করার জন্য। প্রথমত কেউ তার সাধারণ ডায়েরি গ্রহণ করেনি। অবশেষে গত ৩ মে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানা তার অভিযোগ গ্রহণ করে। থানায় মামলা নং আর-১৯/ ৫৭৬/২১। তিনি অভিযোগ করে বলেন, প্রথম দিকে পুলিশ তার সাধারণ ডায়েরি গ্রহণ করলে সোয়া ৪ লক্ষ টাকার ধান উদ্ধার করা সম্ভব হতো।
ধান নিয়ে গাড়ি উধাও হওয়া ঘটনার একদিন পর গত ২৮ এপ্রিল মেসার্স সুনামগঞ্জ মর্ডান ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির মালিক মো. হাবিবুর রহমান দিরাই থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করেছেন ডাইরি নং ১২৮৬ বলে জানা গেছে ।
এব্যাপারে মামলার আয়ো সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই আব্দুল রাজ্জাক অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন আমরা তদন্ত শুরু করেছি, আমরা আশাবাদি শীঘ্রই ট্রাক ও ট্রাকের চালককে উদ্ধার করা যাবে।