ধলাই ডেস্ক: কুমিল্লার চান্দিনায় ১২ বছরের মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে ওই মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক মো. ইউসুফ সোহাগ। এই অভিযোগে বুধবার দুপুরে তাকে আটক করে পুলিশে দেয় স্থানীয়রা।
মো. ইউসুফ দেবীদ্বার উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের সহিদুল ইসলাম এর ছেলে। তিনি চান্দিনার কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ জামে মসজিদের ইমাম এবং চান্দিনা পল্লী বিদ্যুৎ রোডে দারুল ইহসান তাহফিজুল কোরআন কওমী মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও মোহতামিম।
মাদরাসাছাত্রীর বাবা বলেন, গত ২০১৯ সালে চান্দিনা পল্লী বিদ্যুৎ রোডের ওই মাদরাসায় আমার মেয়েকে ভর্তি করাই। গত ১৩ অক্টোবর (মঙ্গলবার) জানতে পারি ওই শিক্ষক আমার মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। খবর পেয়ে আমি বিভিন্নভাবে খোঁজ নিয়ে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে মানবাধিকার কর্মী ও কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা লিটন সরকারকে বিষয়টি জানাই। তিনি মঙ্গলবার রাতেই ওই শিক্ষকসহ আমার মেয়েকে উদ্ধার করে।
ওই মাদরাসা ছাত্রী বলেন, মাদরাসায় অধ্যায়নরত অবস্থায় এক মাস আগে ইউসুফ হুজুর জোর করে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে। আমি বিষয়টি আমার অভিভাবককে জানাইতে চাইলে তিনি আমাকে বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখায়। পরবর্তীতে তিনি সুযোগ পেলেই আমার সঙ্গে খারাপ কাজ করতো। মঙ্গলবার আমাকে বাড়ি পৌঁছে দেয়ার কথা বলে জোর করে ঢাকায় নিয়ে যায়।
কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা লিটন সরকার বলেন, ওই শিক্ষক এ পর্যন্ত চারটি বিয়ে করে। এখনো তার ২ স্ত্রী বর্তমান রয়েছে। কওমী মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করে শিশু ছাত্রীদের বিভিন্নভাবে জিম্মি করে ধর্ষণের আরো বহু অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। মেয়েটির বাড়ি আমার নিজ গ্রামে। মেয়েটির বাবা মঙ্গলবার আমাকে বিষয়টি অবহিত করলে আমি দেবীদ্বারের ইউএনও ও ওসিকে জানিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করি। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।
দেবীদ্বার থানার ওসি মো. জহিরুল আনোয়ার বলেন, শিশু মেয়েটির ও মাদরাসাশিক্ষকের বাড়ি দেবীদ্বার থানা এলাকা হলেও ঘটনাস্থল চান্দিনা থানা এলাকায়। এ বিষয়ে চান্দিনা থানা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
চান্দিনা থানার ওসি শামসউদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এখনই জানতে পেরে ওই মাদরাসাশিক্ষকসহ মেয়েটিকে থানায় এনেছি। বিস্তারিত জেনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।