ট্রলারে হাত-পা বেঁধে রাতভর তরুণীকে গণধর্ষণ

প্রকাশিত: ৭:২৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২০
ছবি সংগৃহীত

ধলাই ডেস্ক: ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার একটি দুর্গম চরে ট্রলারের মধ্যে বেঁধে রেখে এক তরুণীকে (২০) দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

রোববার (০৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চরমানিকা ইউনিয়নের চরফারুকি গ্রামের বুড়াগৌরঙ্গ নদীর তীরবর্তী দুর্গম চরের একটি ট্রলার থেকে তাদের গ্রেফতার করে কোস্টগার্ড। এর আগে শনিবার বিকেল থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

গ্রেফতারকৃতরা হলো উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চরমানিকা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের হাকিম দালালের ছেলে সোহেল রানা দিদার (২০), খলিল মিয়ার ছেলে ইউসুফ হাসান (২০), ৩নং ওয়ার্ডের মোকাম্মেলের ছেলে ওয়াসেল আহম্মেদ (২০), চর কচ্ছপিয়া এলাকার ইসমাইল ফকিরের ছেলে রিপন (২০) ও কাসেম হাওলাদারের ছেলে মোরশেদ হাওলাদার (৩৫)।

দক্ষিণ আইচা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ৫-৬ মাস আগে চরফ্যাশন উপজেলার আসলামপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের এক তরুণীর সঙ্গে চরমানিকা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের হাকিম দালালের ছেলে সোহেল রানার মোবাইলে পরিচয় হয়।

গতকাল শনিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) তরুণীকে ডেকে আনে সোহেল রানা। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দক্ষিণ আইচায় এলে তরুণীকে চর কুকরি-মুকরিতে নিয়ে যায় সোহেল। সেখানে সোহেল, তার বন্ধু ইউসুফ হাসান, ওয়াসেল আহম্মেদ তরুণীকে ধর্ষণ করে।

সন্ধ্যায় ট্রলার নিয়ে আসে রিপন ও মোরশেদ। পরে তারাও তরুণীকে ধর্ষণ করে। এরপর ট্রলার চালিয়ে তরুণীকে নিয়ে চরমানিকার দিকে যায় তারা। রাতভর ট্রলারের মধ্যে তরুণীকে দফায় দফাফ ধর্ষণ করে তারা।

ওসি মো. হারুন অর রশিদ আরও বলেন, দুপুরে পাঁচজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন তরুণী। ধর্ষণের শিকার তরুণীর মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পাঁচ ধর্ষককে আদালতে পাঠানো হয়েছে।