আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানের রাজধানী তেহরানে ইউক্রেনের একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত ৮২ জনই ইরানের নাগরিক। ওই দুর্ঘটনায় কানাডার আরও ৬৩ জন নিহত হয়েছে। বাকিরা ইউক্রেন, সুইডেন, আফগানিস্তান, জার্মানি এবং ব্রিটেনের নাগরিক।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভাদিম প্রিসতাইকো বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইরানে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটিতে ৮২ জন ইরানি এবং ৬৩ জন কানাডার আরোহী ছিলেন।
ইউক্রেন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের ওই বিমানটি ১৭০ জনের বেশি আরোহী নিয়ে তেহরানের ইমাম খামেনি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয়। তবে আন্তর্জাতিক কিছু গণমাধ্যমের খবরে প্রাথমিকভাবে ১৭০ জন আরোহীর কথা বলা হয়েছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভাদিম প্রিসতাইকো এক টুইট বার্তায় বলেছেন, নিহত ৮২ জন ইরাকি, ৬৩ জন কানাডীয়, ১০ জন সুইডেনের, চারজন আফগানিস্তানের, তিনজন জার্মানির এবং তিনজন ব্রিটেনের নাগরিক। অপরদিকে ওই দুর্ঘটনায় নয় ক্রু সদস্যসহ ১১ জন ইউক্রেনের নাগরিক নিহত হয়েছেন।
বুধবার সকালে বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি তেহরানের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করেছিল। এটি ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের পথে যাত্রা করছিল। ইরানের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ওই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে।
বিমানটি উড্ডয়নের মাত্র তিন মিনিটের মাথায় বিধ্বস্ত হয়েছে বলে ইরানের একটি টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে। একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বিমানটি আকাশ থেকে মাটিতে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই এতে আগুন ধরে গেছে। বিমানটি উড্ডয়নের পর মাটি থেকে ৭ হাজার ৯২৫ ফুট ওপরে উঠেছিল। এরপর তেহরানের ইমাম খামেনি বিমানবন্দরের কাছেই এটি বিধ্বস্ত হয়।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, ওই বিমানটিতে থাকা সব আরোহীই মারা গেছেন। বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি তেহরানের পারান্ড শহরতলীর কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।