বিনোদন ডেস্ক: আইন ভেঙে বন্যপ্রাণী খাঁচায় বন্দি ও হত্যার দৃশ্য দেখানোর অভিযোগে আইনের আওতায় আসতে পারে সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত আলোচিত সিনেমা ‘হাওয়া’।
মঙ্গলবার বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে সিনেমাটির আইনগত বিষয় নিয়ে কথা হলে তারা এমন আভাস দেন।
তিনি আরো জানান, তারা চলচ্চিত্রটি দেখে দ্রুত প্রতিবেদন দেবেন। বন্যপ্রাণী আইন লঙ্ঘনের সত্যতা পেলে আইন যা বলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা রথীন্দ্র কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘হাওয়া’ সিনেমায় বন্যপ্রাণী বন্দি ও হত্যার বিষয়টি আমরা শুনেছি। পত্রপত্রিকায়ও দেখেছি। কিন্তু মূল সিনেমাটি দেখা হয়নি।
তিনি বলেন, আমরা আগে সিনেমাটি দেখবো। তারপর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা কী সিদ্ধান্ত নেয়া যায় সে বিষয়ে তখন গণমাধ্যমে জানানো হবে।
এর আগে, দেশের একটি শীর্ষ দৈনিকে প্রকাশিত চলচ্চিত্রটির রিভিউ থেকে জানা গেছে, এ চলচ্চিত্রে একটি পাখিকে হত্যা করে চিবিয়ে খেয়েছেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। বিস্তারিত বর্ণনা করে বলা হয়, মাছ ধরা বোট নয়নতারার সরদার চান মাঝি একটা পাখি পোষে। নিজে জলপানের সময় পাখির খাঁচার খুরিতেও সে জল ঢেলে দেয়। নিয়ম করে খেতে দেয় পাখিটিকে। আবার পথ হারিয়ে এই শালিককে উড়িয়ে দেয় সে। পোষা পাখির ফিরে না আসায় আশা খোঁজে। তারপর পাখি ফিরে আসে। সেটিকে পুড়িয়ে উদরস্থ করতেও সময় লাগে না চানের। হলভর্তি দর্শক চোখমুখ কুঁচকে ‘চান’ চরিত্রে চঞ্চল চৌধুরীর চিবিয়ে চিবিয়ে পোষা পাখির হাড়মাংস খাওয়া দেখেন। তীব্র রোমাঞ্চ আর ঘৃণা নিয়ে তাকান। দৃশ্যটি তাদের মাথায় গেঁথে যায় অনেক দিনের জন্য।
এই রিভিউটি শেয়ার করে সেদিন থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব হয় প্রাণীপ্রেমিরা। বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষে থেকে দাবি তোলা হয় যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই দেশজুড়ে মুক্তি পায় ‘হাওয়া’ সিনেমাটি। সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া মাঝি ও জেলেদের জীবন ঘিরে নির্মিত সিনেমাটি মুক্তির আগে থেকেই বেশ সাড়া জাগায়। তরুণ নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত এ সিনেমায় চঞ্চল চৌধুরী, শরীফুল রাজ, নাজিফা তুষি ছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুমন আনোয়ার, সোহেল মণ্ডল, নাসির উদ্দিন।
সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ।