
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের বসতবাড়ি থেকে শুক্রবার একটি বিষধর শঙ্খিনী সাপ উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন।
শুক্রবার উপজেলার পশ্চিম পাত্রিকুল গ্রামে কুতুব মিয়ার বাড়ি থেকে ওই সাপটি উদ্ধার করা হয়েছে। পরে সুবিধাজনক সময়ে সাপটি অবমুক্ত করা হয়।
এ প্রসঙ্গে ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল দেব বলেন, সাপটি বসতঘরে ঢুকে পড়েছিল। পরে আতঙ্কিত লোকজন বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডশনে খবর দিলে আমরা তা উদ্ধার করি।
প্রাণী বিশেষজ্ঞরা জানান, এই সাপ যেখানে থাকে সেখানে অন্য সাপ থাকে না। কারণ সে অন্য সাপকে খেয়ে ফেলে। বিষধর সাপের মধ্যে অন্যতম এই সাপের দংশনে মানুষের মৃত্যুর তেমন রেকর্ড নেই।
নিউরো টক্সিন বিষ সংবলিত শঙ্খিনী সাপকে এলাকা বিশেষে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। যেমন শাখামুটি, সানি সাপ (খুলনা অঞ্চলে), দুইমাথা সাপ ইত্যাদি। এর ইংরেজি নাম Banded Krait, বৈজ্ঞানিক নাম Bungarus fasciatus। এই সাপের সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য হতে পারে ৬ থেকে ৭ ফুট।
বিশেষজ্ঞরা আরো জানান, গ্রাম এলাকায় এদের দুমুখো সাপ বলে। তবে এটা ভুল। এ সাপের লেজের অংশ ভোঁতা থাকে। এতে অনেকেই একে দুমুখো সাপ ডাকেনে। এরা নিশাচর। এরা ইঁদুরের গর্ত, ইটের স্তূপ এবং উঁইয়ের ঢিবিতে থাকতে পছন্দ করে। অন্যান্য সাপ এদের ভয়ে পালিয়ে যায়। আইইউসিএন এই সাপকে বাংলাদেশে বিপন্ন হিসেবে ঘোষণা করেছে।