ধলাই ডেস্ক: মিরপুরের বাসিন্দা আব্দুর রহমান (ছদ্মনাম) প্রতিদিন রাতেই দূরের একটি বাড়ি থেকে গায়েবি কান্নার শব্দ শুনতে পান। সেই গায়েবি কান্নার বিষয়টি পুলিশকে জানান তিনি। তার তথ্যের ভিত্তিতে একটি ‘ভুতুড়ে’ বাড়ির সন্ধান মেলে। অবশেষে সেই বাড়িতেই শ্বাসরুদ্ধ অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ ‘গায়েবি’ কান্নার রহস্য জট খুলেছে।
পুলিশের এআইজি মো. সোহেল রানা (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) সংবাদ মাধ্যমকে এ চাঞ্চল্যকর তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ঢাকার মিরপুর ২ নং সেকশনে বসবাস করেন আব্দুর রহমান। তার বাড়ির পাশে রয়েছে নির্মাণাধীন একটি আবাসিক প্রকল্প। রাতের বেলা প্রায়ই সেখান থেকে গায়েবি এক কান্নার শব্দ ভেসে আসে। কয়েকদিন চেষ্টা করেও তিনি জানতে পারেননি বিষয়টি কী?
অবশেষে পুলিশকে জানানোর বিষয়টি তার মাথায় আসে। পুলিশের কাছ থেকে সহায়তার জন্য বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং পরিচালিত ‘বাংলাদেশ পুলিশ ফেইসবুক পেইজ’-এর কথা তার জানা ছিল। তিনি বিষয়টি সম্পর্কে পেজের ইনবক্সে বার্তা পাঠালেন। তার বার্তাটি পেয়ে মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংয়ের মিরপুরের ওসি মো. মোস্তাজিরুর রহমানকে সাদা পোশাকে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেই।
মো. সোহেল রানা বলেন, নির্দেশনার প্রেক্ষিতে মিরপুরের ওসি এসআই মো. নাজমুল হক ও এসআই মো. আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে সাদা পোশাকের একটি টিম প্রেরণ করেন। ওসির প্রত্যক্ষ তদারকিতে সাদা পোশাকের টিমটি পরপর দুই রাতে সম্ভাব্য কয়েকটি ভবন ও আশপাশের এলাকায় খোঁজ নিয়ে অবশেষে রহস্যের জট খুলতে সক্ষম হন।
তিনি আরো বলেন, একটি হাউজিং কমপেক্সের ভেতরে নির্মাণাধীন ও বর্তমানে পরিত্যক্ত একটি ভবনে মো. জাহাঙ্গীর নামে এক ব্যক্তি তার দুই শিশু বাচ্চা ও স্ত্রী নিয়ে বসবাস করছিলেন। ভোলা জেলার চরফ্যাশন থানার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর মিরপুরে নির্মাণাধীন কমপ্লেক্সে যেই পরিবেশে তিনি থাকেন সেই পরিবেশটা বেশ ভুতুড়ে। এখানেই প্রতিদিন তিনি তার সন্তানদের হাত-পা বেঁধে মারপিট করতেন। তারই চিৎকার দূর থেকে শোনা যেতো। স্ত্রী ও বাচ্চাদের নির্যাতনের অভিযোগে নির্যাতনকারী এ বাবাকে আটক করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।