ধলাই ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবেলায় ভোলার চরাঞ্চলের লোকজন ও গবাদি পশু-পাখিকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়ার কাজ শুরু হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণদের শনিবার দুপুর ১২টার মধ্যে জেলার ৬৬৮টি সাইক্লোন সেল্টারে নেয়ার কাজ শেষ হবে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে নিজ কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ভোলার জেলা প্রশাসক মো. মাসুদ আলম সিদ্দিক।
এ সময় তিনি জানান, বর্তমানে ৭ নম্বর সর্কতা সংকেত চলছে। ঝুঁকিপূর্ণ সব মানুষ যাতে আশ্রয় নিতে পারে সে জন্য সাইক্লোন সেল্টারের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবনও খুলে দেয়া হয়েছে। এছাড়া গবাদি পশু রাখার জন্য ৩৯টি মুজিব কেল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মাঠে ১৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। পাশাপাশি কোষ্টগার্ড, নৌ পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসসহ সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও কাজ করছে।
তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে দুর্যোগকালীন সময়ের জন্য ১০ লাখ টাকা, ২০০ মে. টন চাল এবং ২ হাজার প্যাকেট শুষ্ক খাবার বরাদ্দ বরাদ্দ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। বিভিন্ন উপজেলায় ইতোমধ্যে খাবার পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনে আরও ত্রাণ দেয়া হবে। আশ্রয়কেন্দ্রে লোকজনকে সকালে শুষ্ক খাবার এবং দুপুর ও রাতে খিচুরি খেতে দেয়া হবে। এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রে প্রতিবন্ধী, শিশু, নারী ও বয়স্কদের সার্বিক নিরাপত্তায় নির্বাহী মেজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে ১০ সদস্য বিশিষ্ট ৮টি টিম গঠন করা হয়েছে।
এ সময় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মাহামুদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মৃধা মো. মুজাহিদুল ইসলাম (সার্বিক) ও মো. আতাহার মিয়া (শিক্ষা ও আইসিটি), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাফিন মাহমুদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেন, জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা এ বি এম আকরাম হোসেন, জেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) উপ-পরিচালক সাহাবুদ্দিন মিয়াসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে আজ সকাল থেকেই ভোলার আকাশ কালো মেঘে ঢাকা ছিল। দুপুর থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। বিকেল থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে থাকে।