ডেস্ক রিপোর্ট: কুমিল্লার দেবিদ্বারে তিনজনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যাকারী রিকশাচালক মোখলেছুর রহমানের জানাজা ও লাশ দাফনে বাধা দিয়ে এলাকায় বিক্ষোভ করেছে স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে একটি পিকআপযোগে তিনজনের মরদেহের সঙ্গে ওই ঘাতকের মরদেহ এলাকায় আনার পর স্থানীয়রা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা ঘাতক মোখলেছের জানাজা ও লাশ দাফনে বাধা দিয়ে বিক্ষোভ করে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে নিহতদের পরিবার ও স্থানীয়দের সঙ্গে সমঝোতা করে তার মরদেহ দাফন করা হয়।
এদিকে তিনজনের মরদেহ একসঙ্গে এলাকায় আনার পর তাদের আত্মীয়-স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এসময় এলাকায় এক শোকাবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তাদের জানাজায় এলাকার সর্বস্তরের লোকজন অংশ নেয়।
অন্যদিকে ওই ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে দেবিদ্বার থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। দেবিদ্বার থানার ওসি জহিরুল আনোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকালে নিহত নাজমা বেগমের ছোট ভাই মো. রুবেল হোসেন বাদী হয়ে জনতার হাতে গণপিটুনিতে নিহত মো. মোখলেছুর রহমানকে একমাত্র আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। অন্যদিকে ঘাতক মোখলেছুর রহমানের স্ত্রী মো. রাবেয়া বেগম বাদী হয়ে তার স্বামীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় রাধানগর গ্রামের অজ্ঞাতনামা ১৫০০ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলা দুটি অধিকতর তদন্ত ও হত্যাকাণ্ডে মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কুমিল্লাকে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে।
ওই ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ঘাতকের বাড়িতে হামলার আশঙ্কায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। সন্ধ্যায় কুমিল্লার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম জানান, ওই হামলার সময় আহত হয়ে যারা এখনও হাসপাতালে তাদের পুলিশের পক্ষ থেকে সহায়তা করার পাশাপাশি বুধবার থেকে নিহতের পরিবারের সদস্যদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এর আগে গত বুধবার সকাল ১০টায় দেবিদ্বার উপজেলার রাধানগর গ্রামে রিকশাচালক মোখলেছুর রহমান ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে নাজমা বেগম, আনোয়ারা বেগম আনু ও শিশু আবু হানিফকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় আহত হন আরও অন্তত পাঁচজন। পরে স্থানীয় লোকজন গণপিটুনি দিয়ে ঘাতক মোখলেছকে হত্যা করে।