ধলাই ডেস্ক: কক্সবাজারের টেকনাফ সৈকতে এবার চামড়াবিহীন একটি মৃত তিমি ভেসে এসেছে। তবে তিমিটির গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। সোমবার দুপুরে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ও নাফ নদীর সংযোগ স্থলের মোহনা ঘোলারচর পয়েন্টে মৃত তিমিটি ভেসে আসে। বর্তমানে সেটি ঘোলারচর পয়েন্টের বালিয়াড়িতে পড়ে আছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা জসিম মাহমুদ।
তিনি বলেন, ঘোলারচর পয়েন্টে একটি মাছ দেখে ছোট শিশুরা খবর দিলে ঘটনাস্থলে যাই। পরে সেখানে একটি ছয় ফুট লম্বা মাছ দেখি। কিন্তু মাছটির ওপরের অংশ দেখে মনে হয়েছে এটি ডলফিন আর পেটের নিচের অংশ দেখে মনে হয়েছে তিমি।
জসিম মাহমুদ বলেন, নাফ নদীতে ঢোকার সময় মাছটি বালুরচরে আটকা পড়ে মারা গেছে বলে মনে হচ্ছে। তবে শনিবার শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড়া সৈকতে যে তিমিটি দেখা গিয়েছিল এটি সেটি নয়; কারণ ওই তিমিটি এটার চেয়ে বড় ছিল।
শনিবার টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড়া সৈকতে দেখা মেলে একটি বিরল প্রজাতির তিমির। তিমির বাচ্চাটি ব্লকে আঘাত পেয়ে রক্তাক্তও হয়। পরে জোয়ারের পানিতে বারবার ব্লকে আটকা পড়লে স্থানীয় যুবক ও জেলেরা এটিকে সাগরে ফিরে যেতে সহায়তা করে। ওই তিমিটি ব্রিডস হোয়েল প্রজাতির তিমি বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সাইদুর রহমান চৌধুরী বলেন, টেকনাফ সৈকতে মারা যাওয়া জলজ প্রাণীটি তিমি। এটি তিমির বাচ্চাও বলা ঠিক হবে না; কারণ এটির আকার দেখে মনে হচ্ছে মধ্য বয়সী তিমি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে আট প্রজাতির তিমি রয়েছে। এর মধ্যে টেকনাফ সৈকতে মারা যাওয়া তিমিটি কোন প্রজাতির সেটা ছবি কিংবা ভিডিও দেখে বোঝা খুবই কঠিন। এছাড়া ওই তিমির চামড়াও ক্ষত-বিক্ষত হয়ে গেছে। তিমিটি অসুস্থও হতে পারে।
সেভ দ্যা নেচার অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা মোয়াজ্জেম হোসাইন বলেন, একের পর এক সৈকতে বিরল দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। সাগরে ডলফিন দলের খেলা। এরপর তিমির দেখা। এটি সত্যি সৌভাগ্যের। তবে সোমবার টেকনাফ সৈকতে তিমি মারা যাওয়াটি খুবই দুঃখজনক।

