কমলগঞ্জে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরি এবং অসামাজিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে

প্রকাশিত: ৫:০০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২১, ২০১৯
প্রতিকী ছবি

স্টাফ রিপোর্টার: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আনাচে কানাচে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরি ও অসামাজিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও তরুন সমাজের মধ্যে বিপথগামিতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শমসেরনগর, পতনঊষারসহ বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয়দের অভিযোগে এসব চিত্র পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলার শমসেরনগর, পতনঊষার, আলীনগরসহ বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েক মাস ধরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরি সংঘটিত হচ্ছে। রাস্তার ধারের দোকানপাঠগুলোতে কয়েকদফা চুরি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কোন কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কয়েকদিন অন্তর অন্তর চুরি সংঘটিত হওয়ায় দোকান মালিকরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।

গত তিন মাসে পতনঊষার বাজার, পালপুর বাজার, শ্রীরামপুর, রথেরটিলা, রেলগেট, শমসেরনগরের ভাদাইরদেউলসহ এসব ছোটখাটো বাজার ও রাস্তার পাশের প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরি সংঘটিত হয়েছে। সর্বশেষ গত শুক্রবার দিবাগত রাতে রথেরটিলা বাজারের আকলুছ মিয়ার ইলেকট্রিক দোকান, রেলগেট এলাকায় বকুল মিয়া ও শমসেরনগর এর পূর্বভাদাইর দেউল গ্রামের আব্দুল লতিফ এর মোদি দোকানে চুরি সংঘটিত হয়। গত শুক্রবার দিবালোকে রাস্তার পাশ থেকে পূর্ব ভাদাইরদেউল গ্রামের জীবন মিয়ার একটি গরু চুরি করে নিয়ে যায়। একই গ্রামে শনিবার রাতেও দুইটি গরু চুরি করার সময় জনতার ধাওয়ায় গরু ফেলে চোরেরা পালিয়ে যায়।

এছাড়াও কমলগঞ্জের আনাচে কানাচে অসামাজিক কার্যকলাপে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠছেন স্থানীয়রা। পতনঊষারের টিলাগড় গ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে এসব কার্যক্রমে তরুন সমাজ বিপথগামী হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পুলিশ পতনউষার ইউনিয়নের টিলাগড় গ্রামের আরজু খানের ছেলে আব্দুল খান (৪২) ও রাজনগরের করাইয়ার হাওরের বশির মিয়ার মেয়ে শামীমা আক্তার (২২) কে গ্রেফতার করে। পরে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়।

শমসেরনগর ইউনিয়নের কেছুলুটি গ্রামের রায়হানুর রহমান, ভাদাইরদেউল গ্রামের শিপন মিয়া বলেন, সম্প্রতি সময়ে চুর দলের তৎপরতায় দোকানপাট ও গরু চুরির ভয়ে লোকজন আতঙ্কগ্রস্ত। পতনঊষারের রথেরটিলা বাজারের মোদি দোকানী ফটিকুল ইসলাম বলেন, তিন মাসের মধ্যে আমার দোকানেই তিন বার চুরি সংঘটিত হয়েছে। এতে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গভীর রাতে সাধারণত বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পরপরই চুরি সংঘটিত হয়ে থাকে। তিনি আরও বলেন, এসব চুরির ঘটনায় একটি চক্রের সাথে স্থানীয় দু’এক ব্যক্তিরা জড়িত।

এ ব্যাপারে শমসেরনগর ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর অরুপ কুমার চৌধুরী বলেন, পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। তবে স্থানীয়ভাবেও সবাইকে সতর্ক থাকা এবং ঘটনা বিষয়ে থানায় অভিযোগ দেয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, এসব অপরাধের সঙ্গে কারা জড়িত থাকতে পারে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং অসামাজিক কার্যক্রম বিষয়েও পুলিশ তৎপর রয়েছে।