কমলগঞ্জে লবণ এর দাম বৃদ্ধির গুজব, দোকানগুলো তে ক্রেতার ভিড়

প্রকাশিত: ১২:২১ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
ছবি ধলাইর ডাক

স্টাফ রিপোর্টার: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সদর ভানুগাছ, শমশেরনগর, আদমপুর, মাধবপুর, মুন্সসিবাজারসহ বিভিন্ন বাজারে লব‌ণ সংকটের গুজব ছড়িয়ে দাম বৃদ্ধির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

আর এই গুজবে নিমিষেই বিক্রি হয়ে গেলো হাজার হাজার কেজি লবণ। পেঁয়াজের পর সোমবার রাতে কমলগঞ্জের বাজার গুলোতে লবণের দাম বৃদ্ধি নিয়ে গুজব সৃষ্টি হয়েছে। রাতে নিত্য প্রয়োজনীয় এ দ্রব্যের দাম বেড়ে যাওয়ার গুজবের কারণে ক্রেতারা লবণ কিনতে দোকানে দোকানে ভিড় করছেন। আর এ সুযোগে কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক দামে লবণ বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হঠাৎ লবণের দাম বেড়ে যাওয়ার গুজবে অনেকেই চড়া দামে লবণ বিক্রি করছে। যেখানেই দাম কম পাওয়া যাচ্ছে সেখানেই ভিড় ক্রেতারা, কেউ ৫,১০,২০ কেজি পর্যন্ত লবণ কিনে রাখছেন। রাত ৯ টার এই গুজব বাজারগুলোতে ছড়িয়ে দেয়া হয়, ১০ টার পর থেকে অনেক দোকানে আর লবণ পাওয়া যা‌চ্ছিল না। এদিকে মাধবপুর বাজারের ব্যবসায়ী, সনজিত দাস, মুসলিম মিয়া,সামছুল মিয়া,সিরাজ মিয়ারা জানান, আমাদের দোকান গুলোতে লবণের পূর্ব মূল্য ৩০/৩৫ টাকা দর থাকায় রাত নয় টার পর থেকে লবণ কেনার ক্রেতারা ভিড় করতে থাকে রাত দশ টার মধ্যেই আমরা প্রায় সাড়ে ৪ কেজির মত লবণ বিক্রি করেছি। অনেক ক্রেতারা অভিযোগ করে মাধবপুর বাগানে অনেক দোকানে লবণের দাম ১০০ থেকে ১২০ টাকা বলছিলো, তাই দাম কম হওয়ায়, মাধবপুর বাজার থেকে লবণ ক্রয় করতে এসেছি। মাধবপুর বাজারে মুসলিম ষ্টোরে লবণ কিনতে আসা পার্শ্ববর্তী নোওয়াগাঁও গ্রামের মুজিব মিয়া, সাহেদ মিয়া, বলেন, শুনেছি লবণের দাম বেড়েছে, কাল থেকে দাম নাকি আরো বাড়বে খবরটি শুনে রাতেই মুসলিম ষ্টোরে কম দামে লবণ পাওয়ায় আমরা ৩০ কেজি কিনে নিয়েছি।

এদিকে বাজারে পিয়াঁজের দাম কিছুটা শিতিল হলেও মাধবপুরসহ স্হানীয় বিভন্ন বাজার গুলোতে এখনও পিয়াঁজের কেজি ২৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। সোমবার রাতেই শমশেরনগর ফাঁড়ির পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করে জনগণকে গুজবে কান না দেওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।  ‌আলাপকালে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক অরুপ কুমার চৌধুরী বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়াচ্ছে কিছু সুবিধাবাদী মানুষ। দেশে লবণ সংকটের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এই গুজব থেকে সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকতে হবে। যারাই গুজব রাটাবে, পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।