চলন্ত বাসে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা: সেই চালক কারাগারে

প্রকাশিত: ৭:৪৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩০, ২০২২
সংগৃহীত

ধলাই ডেস্ক: রাজধানীতে বিকাশ পরিবহনের একটি চলন্ত বাসে এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় রিমান্ড শেষে চালক মো. মাহবুবুর রহমানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

শনিবার ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ নুরুল হুদার আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিন রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আজিমপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আছিবুজ্জামান আসিফ। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত বুধবার রাজধানীর তুরাগ থানার বালুর মাঠ থেকে তাকে গ্রেফতার করে লালবাগ থানা পুলিশ। পরদিন বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে আদালত তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ জুলাই রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে ভুক্তভোগী ঐ ছাত্রী ধানমন্ডি থেকে আজিমপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে বিকাশ পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন। বাসে উঠে কানে হেডফোন দিয়ে গান শুনতে শুনতে এক পর্যায়ে তিনি তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। পরে রাত আনুমানিক ৯টা ১০ মিনিটের দিকে ভুক্তভোগী অনুভব করেন, তার শরীরে কেউ যেন হাত দিয়েছে। তাৎক্ষণিক তিনি তাকিয়ে দেখেন বাসে কোনো যাত্রী নেই এবং তার পাশের সিটে বাসটির হেলপার বসা। তখন ঐ ছাত্রী বিপদ আঁচ করতে পেরে বাসের হেলপারকে তার পাশ থেকে ধাক্কা দিয়ে সরানোর চেষ্টা করেন। তখন ভুক্তভোগী সিট থেকে দাঁড়িয়ে নামার চেষ্টা করলে হেলপার তাকে পেছন থেকে এক হাতে মুখ চেপে ধরেন। ঐ ছাত্রী নিজেকে বাঁচানোর জন্য সর্বশক্তি দিয়ে হেলপারের কাছ থেকে ছুটে চালককে চিৎকার করে বাস থামাতে বলেন। কিন্তু চালক তখন বাস না থামিয়ে দ্রুতগতিতে ইডেন কলেজের সামনে দিয়ে আজিমপুরের দিকে যেতে থাকেন। এক পর্যায়ে আজিমপুর গার্লস স্কুলের কাছে বাসটি কিছুটা গতি কমালে ঐ ছাত্রী লাফ দিয়ে বাস থেকে নেমে আত্মরক্ষা করেন।

ভুক্তভোগী ছাত্রী ঘটনাটি ফেসবুকে শেয়ার করে একটি পোস্ট দেন। এরপর লালবাগ থানা পুলিশ প্রাথমিক অনুসন্ধান করে ভুক্তভোগীকে চিহ্নিত করে তথ্য সংগ্ৰহ করে। তাৎক্ষণিক সিসি ফুটেজ পর্যালোচনা ও আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে বিকাশ পরিবহনের বাসটি শনাক্ত করা হয়। এ ঘটনায় রাজধানীর লালবাগ থানায় একটি মামলা হয়েছে।