ধলাই ডেস্ক: রাজধানীর ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপর্ণা আক্তার ইতিকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় জড়িত দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত দুটি চাপাতি, একটি রক্তমাখা শার্ট ও অপর্ণার কাছ থেকে ছিনতাই করা মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর বাড্ডা থানাধীন আনন্দনগর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাররা হলেন- মো. ইমরান হোসেন ওরফে ঝাওয়ালী ওরফে জালালী ও শাহজাহান। ইমরানের বিরুদ্ধে ডিএমপির বিভিন্ন থানায় সাতটি ও শাহজাহানের বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে।
ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. আব্দুল আহাদ বলেন, রোববার (২ এপ্রিল) রাত আনুমানিক ১১টায় প্লাটিনাম জিম থেকে পায়ে হেঁটে বাসার উদ্দেশে রওনা হন অপর্ণা। আফতাবনগর সি ব্লকের ইম্পেরিয়াল কলেজের সামনে মেইন রোডে পৌঁছালে দুজন ছিনতাইকারী তার গতিরোধ করে। পরে তাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে ও ভিকটিমের হাত থেকে একটি মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, ছিনতাইয়ের বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে গুলশান বিভাগের বাড্ডা থানার একাধিক পুলিশ টিম ঘটনার রহস্য উন্মোচন, আসামি গ্রেফতার ও মোবাইল উদ্ধারের কাজ শুরু করে। তথ্যপ্রযুক্তি ও ম্যানুয়াল পদ্ধতির সমন্বয়ে ছিনতাইকারীদের শনাক্ত করা হয়। তবে দুই ছিনতাইকারী অত্যন্ত চতুর হওয়ায় বারবার স্থান পরিবর্তন করে আত্মগোপনের চেষ্টা করে। পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। অবশেষে গত রাতে আনন্দনগর থেকে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
ডিসি আহাদ বলেন, গ্রেফতার দুজনই পেশাদার ছিনতাইকারী। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপর্ণাকে কুপিয়ে আহত ও ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেছে।
তিনি বলেন, ছিনতাইয়ের ঘটনায় ভুক্তভোগীর ভাই মোহাম্মদ আল আমিন বাড্ডা থানায় অভিযোগ করলে তাদের বিরুদ্ধে দস্যুতা মামলা হয়। মামলার তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত আছে, ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।