শীতে হৃদরোগসহ পাঁচটি কঠিন রোগের ঝুঁকি কমায় এই ফুলের চা

প্রকাশিত: ১০:০৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯

লাইফস্টাইল ডেস্ক: একটি ফুল অপরাজিতা। যা নীলকণ্ঠ নামেও পরিচিত। এই ফুলে চায়ের প্রচলনও অনেক পুরনোে।

এটি সবেচেয়ে বেশি পরিচিত ‘নীল চা’ বা ‘ব্লু টি’ নামে। এটি ক্যাফেইনমুক্ত ভেষজ চা। প্রাকৃতিক উপাদানে থেকে তৈরি করা হয় বলে একে ভেষজ বা হারবাল চা বলা হয়।

এটি তৈরি করা হয় ইনফিউশন বা ডিকোটেশন পদ্ধতিতে। এ পদ্ধতিতে অপরাজিতা ফুলের পাপড়ি বা সম্পূর্ণ ফুলটিই পানিতে ভিজিয়ে নির্যাস বের করে নেয়া হয়। এর গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি অম্লত্ব বা ক্ষারত্বের ওপর ভিত্তি করে রঙ বদলায়। যদি এতে লেবুর রস যোগ করেন, তাহলে এটি বেগুনি রঙ ধারন করবে।

এই চা সাধারণত ঠান্ডা অথবা গরম অবস্থায় পরিবেশন করা হয়। এতে রয়েছে প্রচুর ফাইটোকেমিক্যালস। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো-পলিফেনল, ফ্লাভোনোয়িডস, স্যাপোনিন, ট্যানিন, অ্যান্থোসায়ানিন, অ্যালকালোয়িডস, টারনাটিনস, ইনোসিটল ও পেন্টান্যাল ইত্যাদি। এতে প্রচুর ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস রয়েছে। তাই এর ওষুধি গুণাগুণও অনেক।

শীতে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই নিয়মিত এই চা পান করলে এসব রোগের ঝুঁকি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক এর ওষুধি গুণ সম্পর্কে-

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ
এটি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। অর্থাৎ এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

লিভার সুরক্ষা
নীল চায়ের পলিফেনল ও ফ্লাভোনোয়েড যৌগ লিভার এনজাইমের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে লিভারের সুরক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা পালন করে থাকে।

অ্যাজমা প্রতিরোধ
এতে উপস্থিত স্যাপোনিন ও ফ্লাভোনোয়িড যৌগ অ্যাজমা প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

স্মৃতিশক্তি বাড়ায়
এটি স্মৃতিশক্তিবর্ধক হিসেবে অ্যালঝেইমার রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।

ক্যান্সার প্রতিরোধ
এতে আছে অ্যান্থোসায়ানিন, যা আমাদের দেহে ফ্রি রেডিক্যাল তৈরিতে বাধা দেয়। এটি ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
এটি রক্তের ট্রাইগ্লিসারাইডস, কোলেস্টেরল ও এলডিএলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। শীতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও এই চা বেশ কার্যকরী।