
ধলাই ডেস্ক: মরদেহ পরিবহন ব্যবসা নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নারীসহ সাতজন আহত হয়েছেন। আহতদের ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আহতরা হলেন- আয়েশা মনসুর বিউটি (৩৫) মো. মনসুর (৪৫), আল-আমিন (২০) আকাশ (২৫) পথচারী মো. মোস্তফা (২৮) জুনায়েদ পাভেল (২৫), বুলি (২২)।
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জরুরি বিভাগে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ জনকে আটক করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্টাফ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ড ঢাকা মেডিকেল কলেজ ইউনিটের সভাপতি মো. রমিজ ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সমিতির সাবেক সভাপতি আব্দুল খালেক গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেলের নতুন ভবনের সামনে ফের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি মীমাংসার জন্য বিকেল ৩টার দিকে কর্মচারী সমিতি অফিসে আলোচনায় বসে দুই গ্রুপ। এ সময় আব্দুল খালেকের সমর্থকরা রমিজ গ্রুপের ওপর হামলা করলে সংঘর্ষ শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষের সময় রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করেছে তারা। এ সময় জরুরি বিভাগের সামনে রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয় এবং দোকান বন্ধ হয়েছে যায়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সমিতির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মো. শিপন মিয়া জানান, গতকাল রাতে এবং আজ দুপুরে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনা সমাধানের জন্য বেলা ৩টার দিকে রমিজ ও আব্দুল খালেককে নিয়ে সমিতি ঘরে বসা হয়েছিলো। এই সময় সমিতির বাইরে আবারো সংঘর্ষ হয়। এতে দুই গ্রুপের কয়েকজন আহত হয়।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, পরিস্থিত এখন স্বাভাবিক রয়েছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি আবুল হাসান জানান, ঢাকা মেডিকেলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ৫ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।