ঝুঁকিতে যমুনা পাড়ের স্কুল

প্রকাশিত: ৪:১৫ অপরাহ্ণ, জুন ১, ২০২০
ছবি সংগৃহীত

ধলাই ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের আসার পর থেকে ২৭ মে থেকে যমুনায় পানি বাড়তে শুরু করে। বৃষ্টি ও উজানের ঢলের কারণে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে গোবিন্দাসী ইউপির খানুরবাড়ী, কষ্টাপাড়া, ভালকুটিয়া, চিতুলিয়াপাড়া, নিকরাইল ইউপির মাটিকাটা ও সারপলশিয়া গ্রামে ভাঙন দেখা দিয়েছে। তলিয়ে গেছে অর্ধশত পরিবারের বাড়ি-ঘর, ভিটেমাটি।

এছাড়াও খানুরবাড়ী গোপালগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম আশ্রয়কেন্দ্র, সার্বজনীন কালীমন্দির, বেপারীপাড়া জামে মসজিদ, কস্টাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভালকুটিয়া জামে মসজিদ, ভালকুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পোড়াবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়, ভালকুটিয়া পুরাতন জামে মসজিদ, বাইনতাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ স্থানীয় শতাধিক ঘর-বাড়ি ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, গোপালগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পোড়াবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় ও বাইনতাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এরইমধ্যে ৩-৪বার করে ভাঙনের কবলে পড়েছে।  ভাঙন শুরু হলেই পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করে। আগে থেকে কেউ আসে না। যদি আগে থেকে কেউ আসতো তাহলে হয়তো কোনো কোনো এলাকায় ভাঙন ঠেকানো সম্ভব হতো।

গোবিন্দাসী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকরাম উদ্দিন তারা মৃধা জানান, হঠাৎ করে ২৭ মে থেকে যমুনায় পানি বেড়ে যাওয়ায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন অব্যাহত থাকলে প্রায় ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে এলজিইডির গ্রাম্য সড়ক বিলীন হয়ে যাবে।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান, পাউবোর প্রধান প্রকৌশলী আ. মতিন সরকার, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহজাহান সিরাজ ভূঞাপুরের ভাঙন কবলিত এলাকা ২৯ মে পরিদর্শন করেছেন। গোপালগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রক্ষার্থে ১০০ মিটার এলাকায় ৬ হাজার ৬০০ জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে। ভূঞাপুর থেকে সদর, নাগরপুর ও সিরাজগঞ্জের চৌহালী হয়ে মানিকগঞ্জ পর্যন্ত যমুনার বাম তীরের অরক্ষিত স্থানসমুহ রক্ষণাবেক্ষণে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের শেষ দিকে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের একটি বড় প্রকল্প পাউবোতে জমা দেয়া হয়েছে। প্রকল্পটি অমুমোদন না হওয়ায় ২৫০-৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ছোটো ছোটো প্রকল্প গ্রহণ করে যমুনার ভাঙন রোধে স্থায়ী কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের এমপি তানভীর হাসান ছোট মনির জানান, ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা ব্যবস্থা নেবে। আপদকালীন ব্যবস্থা হিসেবে একটি স্থানে কিছু জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে। অন্য স্থানে আরো জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর ব্যবস্থা করা হবে।