ধলাই ডেস্ক নিউজঃ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান থেকে আগর গাছ চুরি হয়েছে। গত শুক্রবার দিবাগতরাতে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের মহিষমারা সেতু সংলগ্ন রেলপথের কাছ থেকে প্রাই দুই ফুট বেড়ের একটি আগর গাছ কেটে খন্ডাংশ করে ফেলে রেখে যায় সংঘবদ্ধ চোরের দল ৷ শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে সিপিজি (কমিউনিটি পেট্রোলিং গ্রুপ) সদস্য ফজল মিয়া উদ্যানে দায়িত্ব পালন করতে এসে একটি আগর গাছ কাটা অবস্থায় দেখতে পান। এসময় গাছের মোথার (গুড়ার) পাশেই এ গাছের কয়েকটি খন্ডাংশ পড়তে থাকতেও দেখেন। বিষয়টি তিনি লাউয়াছড়া বনবিট কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনকে অবহিত করলে বনকর্মীরা আগর গাছের কেটে ফেলে রাখা খন্ডাংশগুলো উদ্ধার করে বনবিট কার্যালয়ে নিয়ে যান। সিপিজি সদস্য ফজল মিয়া বলেন, চোরচক্রের ধারণা ছিল এ গাছের ভিতর আগর উৎপাদন হয়ে গেছে। তাই তারা শুক্রবার রাতে গাছটি কেটে কয়েকটি খন্ডাংশ করে। খন্ডাংশের পর কোন স্থানে আগর উৎপাদন হতে দেখেনি। তাই তারা আগর গাছের খন্ডাংশ ফেলে রেখে চলে যায়। তবে যদি গাছের ভিতর যদি আগর উৎপাদন হত তা হলে চোর চক্র এ গাছের খন্ডাংশগুলো সাথে নিয়ে যেত। লাউয়াছড়া খাসিয়া পুঞ্জির আদিবাসী সাজু মারছিয়াং জানান, আগর গাছ ২ থেকে ৩ ফুট বেড়ের হলে ভিতরে কালো রংয়ের একটি স্তর হয়ে আগর উৎপাদন হয়। গাছের ভিতরে আগর আসার পর একটি গাছ লক্ষাধিক টাকায় বিক্রি হয়। পরে এই গাছটি প্রক্রিয়াজাত করে আতর তৈরী করা হয়। তাই এই আগর গাছ চুরি করতে উঠেপড়ে লেগেছে চোরচক্র। এ ব্যাপারে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের মৌলভীবাজারের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এম এ মোহিত চৌধুরী বলেন, বিষয়টি তিনি জানেন না। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, সাধারণত ২ ফুট বেড়ের আগর গাছে আগর উৎপাদন হয় না। গাছটি আরও পরিপক্ব হলে ভিতরে আগর উৎপাদন হতো। তিনি মনে করেন গাছটি অপরিপক্ব থাকায় আগর উৎপাদন হয়নি বলেই কাটার পরও চোর চক্র এটি ফেলে গেছে। উল্লেখ্য, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভিতর একটি আগর বাগানসহ এ উদ্যানের বিভিন্ন স্থানে প্রচুর পরিমাণে আগর গাছ রয়েছে । তাই বরাবরই গাছ চোর চক্রের কু-নজরে রয়েছে উদ্যানের আগর গাছগুলোর দিকে। প্রায়ই গাছচোর চক্র আগর বাগান থেকে গাছ কাটার চেষ্টা করে।