কমলগঞ্জে গরু চুরির হিড়িক

প্রকাশিত: ৮:০৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২১, ২০১৯

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে চলতি বছরে গরু চুরি বেড়েছে। এতে আতঙ্কিত স্থানীয় গরুর মালিকরা। এছাড়া শেষ সম্বল গরু খুইয়ে শোকে কাতর অনেক কৃষক।

১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় নুরজাহান চা বাগান থেকে প্রাইভেটকার দিয়ে দুটি গরু চুরি হয়। স্থানীয়রা ঘটনাটি দেখে শ্রীমঙ্গল থানার ডলুবাড়ির পরিচিতদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ডলুবাড়ি সড়কে প্রাইভেটকারটিকে থামান স্থানীয়রা। এসময় চালক পালিয়ে গেলেও দুই গরুসহ তিন চোরকে আটক করা হয়। আটকরা হলেন- মোতাব্বির হোসেন, আব্দুল আহাদ, জাকির হোসেন। তাদের বাড়ি শ্রীমঙ্গলে। একই সময়ে মাধবপুর চা বাগানোর বাংলো টিলা থেকে আরো দুটি গরু চুরি হয়।

কমলগঞ্জ সদর ইউপি সদস্য কবিতা কর্মকার বলেন, জানুয়ারি মাসে নিজের প্রায় ৮০ হাজার টাকা মূল্যের একটি গরু চুরি হয়েছে। জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত ফুলবাড়ি চা বাগান থেকে লাল মিয়ার আড়াই লক্ষাধিক টাকা মূল্যের চারটি গরু, আতর আলী মেম্বারের একটি গরু, জয়নাল মিয়ার পাঁচটি গরু, সামছু মিয়ার একটি গরু, চন্দন বাউরীর চারটি গরু, মিলন সাঁওতালের একটি গরু চুরি হয়। গরু চুরির কারণে মালিকরা আতঙ্কে রয়েছেন।

মাধবপুর ইউপির চেয়ারম্যান পুষ্প কুমার কানু বলেন, রঞ্জিত নুনিয়ার একটি, সুনীল শুক্ল বৈদ্যের দুটি, ইন্দ্রজীৎ নুনিয়ার একটি, আব্দুল খালিকের একটি, হারুন মিয়ার একটি, বিমল সাঁওতালের দুটি, মনু মিয়ার চারটি, জানকা নুনিযার একটি গরু চুরি হয়েছে। এভাবে মাধবপুর, ফুলবাড়ী ও নুরজাহান চা বাগান এলাকা থেকে প্রায় ১৫০টি গরু চুরি হয়েছে। শেষ সম্বল গরু চুরি হওয়ায় শোকে কাতর অনেক কৃষক।

কমলগঞ্জ থানার এএসআই আব্দুল হামিদ বলেন, চা বাগান ও জাতীয় উদ্যানের একাংশে পাহাড়ি এলাকায় ঘুরে গরু ঘাস খায়। ঘাস খেয়ে দেরিতে ফেরার সুযোগে গরু চোর চক্র সড়কের পাশে থেকে প্রাইভেটকারের পিছনে তুলে নিয়ে যায়।

কমলগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, প্রাইভেটকারে গরু নিয়ে যাওয়ার সময় দুটি গরুসহ তিন চোরকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলাও হয়েছে। চোরদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত করে বাকী চোরদের আটক করা হবে।