মৌলভীবাজারে সড়কে খানাখন্দে ভরপুর চরম দুর্ভোগে কয়েক লক্ষাধিক মানুষ

প্রকাশিত: ১২:৫৩ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২১, ২০১৯

ধলাই নিউজ ডেস্ক: কমলগঞ্জ, কুলাউড়া, মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মানুষের চলাচলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মৌলভীবাজার-শমশেরনগর-চাতলাপুর চেকপোস্ট সড়ক। এই সড়কটি প্রতিদিন হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ ব্যবহার করেন। মৌলভীবাজার জেলা সদরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতেও চার উপজেলার প্রায় ১৬টি ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষকে এই সড়কটি ব্যবহার করতে হয়। দীর্ঘদিন যাবত সংস্কার না করায় বর্তমানে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে এই সড়ক। যার ফলে ওই সড়ক ব্যবহারকারী লক্ষাধিক মানুষকে প্রতিদিন চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে গত বছরের শেষ দিকে একনেক এর বৈঠকে চুড়ান্ত অনুমোদন পায় মৌলভীবাজার-শমশেরনগর-চাতলাপুর চেকপোস্ট সড়কের উন্নয়ন কাজ। অনুমোদন পেলেও এখন পর্যন্ত এই রাস্তাটির টেন্ডার হয়নি। যার জন্য আটকা পরেছে এই সড়কের সংস্কার কাজ। চাতলাপুর চেকপোস্ট দিয়ে অনেক পর্যটক এ রাস্তা ব্যবহার করে ভারতে যেতে হয়। চাতলাপুর চেকপোস্ট ও শমশেরনগর থেকে মৌলভীবাজার জেলা সদরে যাতায়াত ও মালামাল পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি বর্তমানে যান চলাচলের ক্ষেত্রে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। সরেজমিন দেখা যায়, এ সড়কের প্রায় দুই শতাধিক স্থানে পিচ উঠে ছোট-বড় অনেক গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর থেকে জেলা সদরের ২০ কিলোমিটার সড়কের অধিকাংশ জায়গায়ই খানাখন্দে ভরপুর। গর্তে ভরা এ সড়ক যানবাহন চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। শমশেরনগর-মৌলভীবাজার সড়কে চলাচলকারী যাত্রী পোল্ট্রি ব্যবসায়ী জাহেদুল হক বলেন, এই সড়কটির পিচ উঠে বড় বড় গর্ত তৈরী হয়েছে। সিএনজি অটোরিক্সায় চলাচল করলে শরীরে প্রচন্ড ব্যাথা লাগে। বিশেষ করে রোগী ও গর্ভবর্তী মহিলাদের জন্য এই রাস্তাটি ব্যবহার করা অধিক ঝঁকিপূর্ণ। সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা না হলে জনসাধারণের চলাচলেরও অনুপযোগী হয়ে পড়বে। তাই সড়কটি সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। বেহাল এই সড়ক দিয়ে যানবাহন অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এজন্য এই সড়কে যাতায়াতকারী যাত্রীদেরও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সিএনজি চালক ছুরুক মিয়া, রুপেশ্বর দেবনাথ, মালিক মিয়া, শুকুর মিয়া বলেন, রাস্তার এই বেহাল অবস্থার কারণে যানবাহনের যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে পড়ে। প্রতি সপ্তাহে ২/৩দিন গাড়ি নিয়ে ওয়ার্কশপে যেতে হয়। তাছাড়া যে কোন সময় এই সড়কে বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। একই কথা বলেছেন এই সড়ক ব্যবহারকারী সিএনজি চালক রনি পাল, সুলতান আহমদ, আলমগীর হোসেন, ফারুক মিয়া, শামছু মিয়া, নাজমুল হোসেন ও ট্রাক চালক শাহাজান মিয়া। মৌলভীবাজার যাতায়াতকারী মোটরসাইকেল আরোহী গাজী জাবের আহমদ বলেন, রাস্তাটি দুইটি সংসদীয় এলাকায় বিভক্ত রয়েছে। দুটি আসনেই শক্তিশালী দুজন সাংসদ বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও জেলার গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি বেহাল দশা চিন্তার কারন। এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শরিফুল আলম বলেন, আমি কিছুদিন পূর্বে এ জেলায় যোগদান করেছি। যোগদান করেই রাস্তাটি পরিদর্শন করেছি। অতিসম্প্রতি ঢাকা থেকে উচ্চ পর্যায়ের একটি টিম এসে রাস্তাটি সার্ভে করে গেছে। এই রাস্তাটি একবার টেন্ডার হয়েছিল। কিন্তু বিগত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে আবার নতুনভাবে ইস্টিমিট করা হবে। তবে আশা করছি দ্রুত টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।