ডেস্ক রিপোর্ট: বেপরোয়া মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের আগরগাছ চোরচক্র হানা দিচ্ছে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে। গত এপ্রিল মাসে দশ দিনের ব্যবধানে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান থেকে দুটি আগার গাছ কেটে চুরির পর এবার বাঘমারা বন ক্যাম্পের বনকর্মীদের ঘরে তালাবদ্ধ করে আটকে রেখে একটি আগরগাছ কেটে খন্ডাংশ করে নিয়ে গেল আগর গাছচোরচক্র। গত বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দিবাগত রাত আড়াইটায় কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কের ফুলবাড়ি চা বাগান সংলগ্ন বাঘমারা বন ক্যাম্প এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
আজ শনিবার সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটায় বন ক্যাম্পে কর্মরত দুই কর্মী মোক্তার আলী (৩৮) ও আহসান হাবিব (৩৭) ও ফুল মিয়া (৪০)কে অস্ত্রের মুখে তিনটি কক্ষের ভিতরে রেখে বাইরে থেকে দরজায় তালা দিয়ে সশস্ত্র পাহারা বসায় চোরচক্র। তার পর বন ক্যম্পের পিছন থেকে প্রায় ৩ ফুট বেড়ের একটি আগার গাছ কেটে ঠান্ডা মাথায় খন্ডাংশ করে নিরাপদে নিয়ে যায়। আগর গাছটি কেটে নিয়ে যাবার আগ পর্যন্ত বাহিরে পাহারারত গাছচোর সদস্যরা দরজায় লাথি মেরে বনকর্মীদের হুমকি দিয়ে বলে হাল্লা চিৎকার করলে প্রাণে মেরে রেখে যাবে।
বনকর্মী মোক্তার আলী ও আহসান হাবিব বলেন রাত আড়াইটায় যখন সেহরীর জন্য তারা প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখনই বাইরের দরজায় জোরে আঘাত করে হুমকি দিয়ে বলে কাউকে যেন ফোন না দেওয়া হয়। অন্যতায় এখানে খুন করে যাবে। সাথে সাথে বাহির থেকে তিনটি কক্ষে তালা দেয় চোরচক্র। বনকর্মীরা আরও বলেন আগর গাছ কাটার সময় গাছটি ঘরের উপর পড়লে তারা আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন।
আগর গাছ নিয়ে চোরচক্র চলে যাবার পর এ ঘটনার খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৩টায় মৌলভীবাজারের বন্যপ্রানী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মো.আনিসুর রহমান বনকর্মী, ফরেষ্ট ভিলেজার, সিপিজ (কমিউনিটি পেট্রোরিং গ্রুপ)সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন। আজ শনিবার দুপুরে আবার বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোহিত চৌধুরীর ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন।
লাউয়াছড়া বনরেঞ্জ কর্মকর্তা মোনায়েম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশচিত করে বলেন তদন্তক্রমে আগর গাছ চোরদের সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। যারা এই গাছ চুরির সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।