ওমানের নতুন সুলতানের সাথে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

প্রকাশিত: ৬:১৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১২, ২০২০
ছবি সংগৃহীত

মাহমুদুল হাসান রুমনঃ ওমানের নতুন সুলতান হাইথাম বিন তারিক আল সাঈদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মাদ গোলাম সরওয়ার। আজ সকালে ওমানের রাষ্ট্রীয় ভবন ‘আল-আলম প্যালেস’ এ নতুন সুলতানের সাথে সস্ত্রীক দেখা করেন গোলাম সরওয়ার।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে একটি শোক বার্তা ওমানের নতুন সুলতানের হাতে তুলে দেন তিনি। এ সময় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নতুন সুলতানের কাছে শোক বার্তা পাঠিয়েছেন। আমি আজ সকালে আল আলাম প্রাসাদে নতুন সুলতানের সাথে দেখা করে শোক প্রকাশ করেছি। আমার স্ত্রী শোক প্রকাশের জন্য নতুন সুলতানের স্ত্রীর সাথে দেখা করতে গিয়েছেন। ওমানের জনগণ ও সরকারের সাথে সহমর্মিতা প্রকাশের জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস তিনদিন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আরব বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী শাসক ওমানের সুলতান কাবুস বিন সাইদ আল সাইদ সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। ১৯৭০ সালে ব্রিটিশদের সহায়তা নিয়ে তিনি তার পিতাকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করে নিজে ক্ষমতা গ্রহণ করেন।

ব্রিটিশ বাহিনীর সাহায্যে তিনি দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় দোফার প্রদেশের আদিবাসী সমর্থিত মার্কসিস্ট দল পিপলস ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব ওমানের বিদ্রোহও দমন করেন।

মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোর তুলনায় শাসক হিসেবে দেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও কাবুসকে আরব বিদ্রোহ ছুয়েছিল। কয়েক হাজার নাগরিক দেশটির বিভিন্ন সড়কে নেমে মজুরি বৃদ্ধি ও চাকরির পরিমাণ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিল, বিক্ষোভ দেখিয়েছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে।

পরে বিক্ষোভ দমাতে কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও তাজা গুলি ছোড়ে। দুই জন নিহত, কয়েক ডজন আহত ও শতাধিক গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে এ বিক্ষোভ শেষ হলেও কাবুস পরে তার মন্ত্রিসভার দুর্নীতিবাজ সদস্য হিসেবে খ্যাতদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেন, কনসালটেটিভ কাউন্সিলের ক্ষমতা বাড়ান এবং নাগরিকদের জন্য আরও বেশি চাকরি নিশ্চিতের আশ্বাস দেন।

মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে তুলনামূলক নিরপেক্ষ পররাষ্ট্র নীতি নিয়ে চলা কাবুস ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে গোপন আলোচনায় মধ্যস্থতা করেন, যার ফলশ্রুতিতে দুই বছর পর ঐতিহাসিক ইরান পরমাণু চুক্তিটি আলোর মুখ দেখেছিল।