কমলগঞ্জে স্কুল ঘর এখন চাচা-ভাতিজার দখলে! বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছে বাগান কর্তৃপক্ষ

প্রকাশিত: ৭:২৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৪, ২০১৯

ধলাইর ডাক ডেস্ক নিউজ ঃ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের দেওরাছড়া চা বাগানের বামনবিল এলাকায় চা বাগানের বিদ্যালয় কে বসবাস ঘর হিসাবে ব্যবহার করছে কতিপয় অসাধু চাচা-ভাতিজার পরিবার। স্থানীয় চা শ্রমিকরা জানায়, গত ২ বছর আগে বামনবিল এলাকায় একটি পাকা ঘর নির্মাণ করে দেওরাছড়া চা বাগানের অধীনস্থ টি বোর্ডের স্কুলটি সে জায়গায়
স্থানান্তর করা হয়। দেওরাছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বামনবিল, বেমারী টিলা ও ম্যানেজার বাংলো লাইনে অবস্থিত বিদ্যালয়টি দূরত্ব প্রায় দুই থেকে আড়াই কি:মি:। প্রথম দিকে এ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো চোখে পড়ার মত। কিন্তু বিদ্যালয়টি মূল গার্ডেন থেকে দুই থেকে আড়াই কি:মি: দূরে হওয়ায় আস্তে আস্তে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কমতে শুরু করে। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে না যাওয়ার সুযোগে
১৮ সালে চা শ্রমিক কতিপয় দুর্জধন সিংরাউতি ও তার ভাতিজা দীপ নারায়ণ সিংরাউতি টি বোর্ডের এ বিদ্যালয়ের জন্য তৈরি করা ঘরটি দখলে নিয়ে বসবাস শুরু করে। অনেক অভিভাবকগণ জানান, বিদ্যালয় দূর হওয়ার কারণে তাদের কোমলমতি শিশুড়া স্কুলে যেতে পারছেনা। আর এ এর কারণে অনেক কোমলমতি শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে অনেক অভিভাবকরা মনে করছেন।
স্থানীয় চা শ্রমিকর বিজয় মুন্ডা ও পলাশ দাশ অভিযোগ করে বলেন, বাগানের প্রধান ব্যবস্থাপক কে স্কুলঘর দখলের বিষয়টি অবহিত করে তা দখলমুক্ত করিয়ে পুনরায় স্কুল চালুর জন্য বারবার আবেদন করলেও তিনি কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। বিদ্যালয় দখলমুক্ত করে পুনরায় চালু করার দাবী নিয়ে বুধবার দেওরাছড়া বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির মিন্টু বারাইক,অতিকা মুন্ডা (বাতাসী) সহ ৩০/৪০ জন চা শ্রমিক বাগান ব্যবস্থাপকের সাথে দেখা করলে, তিনি তাদের কাছ থেকে ২৪ ঘন্টার সময় নেন বলে জানিয়েছেন পঞ্চায়েত কমিটি। দেওরাছড়া চা বাগানের বামনবিলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শ্রমিক বলেন, টি বোর্ডের এ স্কুলটি নিয়ে বাগান ম্যানেজার আমাদের সাথে টালবাহানা
করছেন দীর্ঘদিন থেকে। বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি সুবোধ কুর্মি বলেন, টি বোর্ডের স্কুলটি দখলমুক্ত করে পুনরায় চালু হোক এ দাবী আমাদের সকলের, স্কুলটি চালু করার জন্য ব্যবস্থাপককে বারবার অনুরোধ করার পরও তিনি কোন প্রদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না । স্থানীয় ইউপি সদস্য সিতাংশু কর্মকার বলেন, টি বোর্ডের এ স্কুলটি শিক্ষার্থীদের জন্য খুব জরুরী, ম্যানেজার সাহেব আজ না কাল করে কালক্ষেপন করছেন। আমি একজন মেম্বার হিসেবে তাদের দাবী যাতে তাড়াতাড়ি পুরণ হয় সে অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি।
এবিষয়ে চা বাগান ব্যবস্থাপক মোস্তফা জামান কোন বক্তব্য দিতে রাজী হননি। তবে বিভিন্ন আইনি জটিলতার কথা উল্লেখ করে বিষয়টি এরিয়ে যান।
এব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন বলেন, বাগান কর্তৃপক্ষ পরিচালিত বিদ্যালয়টি আমাদের দেখার বিষয় নয়। এটি তাদের অর্থায়নে চলে দেখাশুনার সর্ম্পূণ ভার তাদের উপর নির্ভর করে।