স্টাফ রিপোর্টার: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের শমশেরনগরের বড়চেগ উজান বিল গ্রামে ১০০ পরিবারের জমি জমা রয়েছে। কিছু পরিবার বসতঘর নির্মাণন করে গত কয়েক বছর ধরে বসবাস শুরু করেছেন। শুধু মাত্র যাতায়াতের সমস্যার কারণে এ গ্রামে বসতঘর নির্মাণ করতে পারছেন না অনেকে। তাই স্বেচ্ছাশ্রমে গ্রামের কাঁচা রাস্তার কাজ শুরু করেছে গ্রামবাসীরা ।
শুক্রবার (১ জানুয়ারি) দুপুর ১টায় ইংরেজী নববর্ষের প্রথম দিনে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, আমীর আলী, তৈয়ব আলী, আইয়ূব আরী আলী হোসেন ও খাদেমুল হোসেনের নেতৃত্বে গ্রামবাসীরা শমশেরনগর পেট্রোল পাম্প-এর পূর্ব পাশ থেকে বড়চেগ উজানবিল গ্রামের ১ কি.মি রাস্তার উন্নয়নের কাজ করছেন। আলাপকালে আমির আলী জানান, এ গ্রামে মানুষজন বসত বাড়ি নির্মাণ করে আসছেন। প্রেট্রোল পাম্পের পূর্ব পাশ থেকে গ্রামের ভিতর একটি সরু কাঁচা রাস্তা গেছে। এ গ্রামে নামাজের জন্য মসজিদুল কুবা নামে একটি মসজিদ ও আরবি পড়ার জন্য একটি মক্তব স্থাপন হয়েছে। রাস্তাটি সরু ও কাঁচা থাকায় সহজে কোন প্রকার যানবাহন ঢুকে না। এতে জমি থাকলেও অনেক পরিবার এখনও বসতঘর নির্মাণ করছেন না। গ্রামর সবাই বসতঘর নির্মাণ করে আসলে এ গ্রামটি পূর্ণাঙ্গ গ্রামে রুপ নিবে।
এ গ্রামের রাস্তার উন্নয়নে এক বছর পূর্বে ১০০ পরিবার সদস্যদের স্বাক্ষর নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে আবেদন নিবেদন করলেও আজ পর্যন্ত রাস্তা উন্নয়নে সরকারি কোন সহায়তা পাওয়া যায়নি। অবশেষে পেট্রোল পাম্পের পূর্ব দিকে শমশেরনগর-কমলগঞ্জ সড়কধারের বাড়ির মালিক নজরুল ইসলাম খানের পরার্শ ও উৎসাহে নিজেরা কুদাল,টুকরি নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে ১ কি.মি. রাস্তার উন্নয়ন শুরু করেছেন।
শুক্রবার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুয়েল আহমেদের বড় ভাই হাজী আকমল আলী ও ৬ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ফারুক আহমেদ রাস্তার কাজ পরিদর্শণ করেন। এসময় তারা এ কাজের সহায়তা দানের আশ্বাসও দিয়েছেন।
কমলগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি সহকারি প্রকৌশলী মামুন ভূঁইয়া বলেন, এ গ্রামের রাস্তা উন্নয়নের কোন আবেদন তাদের কাছে নেই। তাই আপাতত সে গ্রামের রাস্তা উন্নয়নের কোন পরিকল্পনাও নেই তাদের। তবে আগামীতে আবেদন করলে সরেজমিন তদন্তক্রমে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট কাজের প্রস্তাব পাঠানো হবে।