কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার একি কান্ড!

প্রকাশিত: ১১:০৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৪, ২০২০
ছবি ধলাইর ডাক

স্টাফ রিপোর্টার: সরকারী গাড়ী ব্যবহার করে নিয়ম ভেঙ্গে নিজের স্ত্রী ও দুই সন্তানকে ঢাকার কল্যান পুর থেকে আরেক লক ডাউন এলাকা মৌলভীবাজার জেলার নিজ কর্মস্থলে নিয়ে আসলেন কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া।

সাধারণ নিয়মে লক ডাউন এলাকা থেকে কেউ বের হতে পারবে না, আবার লক ডাউন এলাকায় প্রবেশও করতে পারবে না। কিন্তু কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সরকারী গাড়ী ব্যবহার করে লক ডাউন এলাকা থেকে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারী বাসায় স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে আসায় স্থানীয় জনগনের মাঝে আতংক দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, সরকারী গাড়ী আনতে চালক মো. হানিফসহ ১৪ এপ্রিল ভোরে ঢাকার উদ্দ্যেশে রওয়ানা হন কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। তিনি গাড়ী গ্রহন করে ঢাকার কল্যান পুর বাসায় গিয়ে নিজ স্ত্রী ও দুই সন্তানকে সাথে করে গাড়ী যোগে এদিন রাতে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারী কোয়ার্টারে উঠেন। বিষয়টি স্থানীয় কয়েকজনের দৃষ্টি গোচর হলে ব্যাপক ভাবে জানাজানি হয়। এতে স্থানীয়দের মাঝে আতংক দেখা দেয়।

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে একাধিক বার মোবাইলে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেনি। এ বিষয়ে মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন ডা. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, তার জানা মতো স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সরকারী গাড়ী গ্রহন করতে ঢাকায় গিয়েছেন। সাথে করে স্ত্রী আনতে পারেন কিনা জানতে চাইলে সিভিল সার্জন কোন উত্তর না দিয়ে লাইন কেটে দেন।

এ ঘটনায় কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশেকুল হক বলেন, খবর পেয়ে তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার স্ত্রী এবং সন্তানদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করেছন। কিন্তু স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং চালকের বিষয়ে আপতত কোন সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন না। যেহেতু তিনি সরকারী নির্দেশে ঢাকায় গিয়েছেন। তবে বিষয়টি তিনি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। তারপরও আগামীকাল কমলগঞ্জ উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভা আছে। সেখানে বিষয়টি নিয়ে আলাপ হবে।

স্থানীয়রা জানান, সরকারী কর্মকর্তা হয়েও নিয়ম ভেঙ্গে নিজের স্ত্রী ও সন্তানদের কমলগঞ্জে এনে তিনি স্থানীয়দের ইচ্ছা করে আতংকের মধ্যে ফেলেছেন। করোনা পরিস্থিতিতে কাজ না করার ইচ্ছা থেকেই তিনি এ রকম কান্ড করেছেন। যাতে ইচ্ছা করে হোম কোয়ারেন্টাইন এ যেতে পারেন।