কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে হাট-বাজার বন্ধ থাকায় আগামীতে আরও সংকট হতে পারে এই আশঙ্কায় গত কয়েকদিন ধরে বানিজ্যিক ব্যাংক শাখাগুলো থেকে গ্রাকহদের আপদকালীণ টাকা উত্তোলণের হিড়িক পড়েছে।
প্রতিদিনই ব্যাংকে টাকা জমার চেয়ে দুই তিন গুন টাকা উত্তোলণ করে নেন গ্রাহকরা। কমলগঞ্জের বেশ কয়েকটি ব্যাংক শাখা ঘুরে এ চিত্র পাওয়া যায়। প্রথম দিকে কয়েকদিন সরকারিভাবে কমলগঞ্জ উপজেলা সদরের সোনালী ব্যাংক শাখা ব্যতীত সবগুলো ব্যাংক শাখা বন্ধ ছিল। পরে গত ৩১ মার্চ কমলগঞ্জ উপজেলা সদরের সোনালী ব্যাংক, রুপালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, শমশেরনগর সোনালী ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংক শাখা খোলা হয়। এরপর থেকে গ্রাহকরা ক্রমান্নয়নে নিরাপদ দূরত্বে থেকে ব্যাংক শাখাগুলোতে এসে নিজেদের হিসাব থেকে প্রচুর পরিমাণে টাকা উত্তোলণ করে নিতে থাকেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন গ্রাহক জানান, সরকারি ছুটি বাড়তে পারে, কবে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তার কোন হিসেব নেই। এমতাবস্থায় আগামীতে বিপদ-আপদ বেড়ে যেতে পারে। যদি সে সময়ে নিজের কাছে নগদ টাকা না থাকে তা হলে অভাব অনটনে পড়তে হবে। এজন্য আপদকালীণ হিসাবে ব্যাংক শাখায় সামান্য টাকা রেখে বাকি টাকা তুলে নিচ্ছেন। পূবালী ব্যাংক শাখা ব্যবস্থাপক নুপুর বৈদ্য বলেন, গত ৬ দিনে তার শাখা থেকে গ্রাহকরা কমপক্ষে ৫ কোটির অধিক টাকা উত্তোলণ করে নিয়েছেন। এর বিপরীতে জমার পরিমান খুবই সামান্য। সোনালী ব্যাংক শমশেরনগর শাখা ব্যবস্থাপক প্রিন্সিপাল অফিসার রিপন মজুমদার বলেন, তার শাখা থেকে গত ৬ দিনে গ্রাহকরা রেমিটেন্স ও জমা টাকা মিলিয়ে প্রায় ৩ কোটি টাকার মত উত্তোলণ করেছে। এর বিপরীতে জমা হয়েছে খুবই কম। সোনালী ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক, রুপালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংক কমলগঞ্জ উপজেলা সদর শাখা সূত্রে জানা যায়, এসময়ে গণ পরিবহন বন্ধ থাকায় ও করোনাভাইরাস আতঙ্কে গ্রাহকদের উপস্থিতি কম থাকলেও যে সকল গ্রাহক এসেছেন তারা আপদকালীণ সময়ের জন্য প্রয়োজনীয় টাকা উত্তোলণ করে নিয়েছেন।