করোনাভাইরাসে ইরানে ১৮ জনের মৃত্যুর খবর

প্রকাশিত: ৮:৩৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০
ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনের উহান থেকে বিশ্বের ২৯টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে ইরানে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইরানি সূত্রের বরাতে এক সৌদি আরবের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আল আরাবিয়ার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই সংখ্যা ৮ জন।

রোববার করোনা আক্রান্ত আরও দুই রোগীর মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছে ইরানের সরকারি কর্তৃপক্ষ। এতে করে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে আট জনে। কিন্তু আল আরাবিয়ার সূত্র বলছে, প্রাথমিকভাবে এই সংখ্যাটা হলো ১৮ জন। একইদিনে ইরানের আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম তাদের আরবি টুইটার পেজে ১৮ জনের কথা জানিয়েছে বলে দাবি তাদের।

করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে মধ্যপ্রাচ্যে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ইরানে। চীনের হুবেই প্রদেশ থেকে উৎপত্তি হলেও প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার এখন পৃথিবীর পাঁচ মহাদেশে বিস্তৃত হয়েছে। গতকাল শনিবার ইরানে ষষ্ঠ ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এছাড়া দেশটিতে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন ১৮ জন।

ইরানে করোনাভাইরাস মহামারি প্রথম শনাক্ত করা হয় দেশটির শিয়া ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র শহর হিসেবে পরিচিত কোমে। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে গত বুধবার প্রথমবারের মতো দুজন প্রবীণের মৃত্যু হয়। এরপর সরকার কোমের সুক্ল বন্ধ ঘোষণা ছাড়া সেখানকার বাসিন্দাদের ভ্রমণের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।

আল আরাবিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশটির জাতীয় নির্বাচনে (গত ২১ ফেব্রুয়ারি) ভোটারের কম উপস্থিতি ছাড়াও করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের সমালোচনা করে বিক্ষোভ করেছেন ইরানের নাগরিকরা। দেশটির উত্তরের শহর তালাশে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের কারণে মহামারি মোকাবিলা বিঘ্নিত হয়েছে।

গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় রাতে দেশটির জিলান প্রদেশের তালাশ শহরে অবস্থিত নূরানী হাসপাতালের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন ক্ষুব্ধ জনতা। এ নিয়ে অনলাইনে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ছুড়ছেন ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী।

এদিকে করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ নামক রোগে চীনে এখন আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৭৬ হাজার ৯৩৬ জন। এছাড়া এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৪৪২। বিশ্বের ২৯টি দেশে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস ছড়িয়েছে। এসব দেশে ২১ জনের মৃত্যু ছাড়াও আক্রান্ত হয়েছেন আরও প্রায় ১ হাজার ৮৬৪ জন।