করোনায় মৃত্যু ১০ হাজার ছাড়ালো

প্রকাশিত: ৮:০৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ২০, ২০২০
ফাইল ছবি

ধলাই ডেস্ক: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের আতঙ্কে ভুগছে পুরো বিশ্ব। চীনের উহানে প্রথমে শনাক্ত হওয়া এ ভাইরাস এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১৭৯টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। সময়ের ব্যবধানে এ ভাইরাসে প্রতিনিয়ত বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যাও।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, পুরো বিশ্বে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে  ১০ হাজার ৪৮ জনে দাঁড়িয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৪৫ হাজার ৮৪৯ জন। এছাড়া চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৮৮ হাজার ৪৩৭ জন।

এখন পর্যন্ত চীনে ৮০ হাজার ৯৬৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। অপরদিকে মারা গেছে ৩ হাজার ২৪৮ জন।

চীনের পরেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় এখন সবার ওপরে আছে ইতালি। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে আরো ৪২৭ জনের মারা গেছেন। এ নিয়ে ইউরোপের দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪০৫ জনে। গত বুধবার ইতালিতে একদিনে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৪৭৫ জন কোভিড-১৯ রোগী। এখন পর্যন্ত এটাই যেকোনো দেশের জন্য একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।

এরপরেই রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরান। দেশটিতে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ হাজার ৪০৭ এবং মারা গেছে ১ হাজার ২৮৪ জন। স্পেনে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ হাজার ৭৭ এবং মারা গেছে ৮৩১ জন।

জার্মানিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার ৩২০ এবং মারা গেছে ৪৪ জন। যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজার ২৯৯ এবং মারা গেছে ২১৮ জন, ফ্রান্সে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ৯৯৫ এবং মারা গেছে ৩৭২ জন।

দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার ৬৫২ এবং মারা গেছে ৯৪ জন। সুইজারল্যান্ডে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ২২২ জন এবং মারা গেছে ৪৩ জন।

যুক্তরাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ২৬৯ এবং মারা গেছে ১৪৪ জন, নেদারল্যান্ডে আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৪৬০ এবং মৃত্যু ৭৬, অস্ট্রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ১৭৯ এবং মৃত্যু ৬।

বেলজিয়ামে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৭৯৫ এবং মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের। নরওয়েতে ১ হাজার ৭৯০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ৭ জন। সুইডেনে করোনায় আক্রান্ত ১ হাজার ৪৩৯ এবং মৃত্যু ১১।

ডেনমার্কে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ১৫১ এবং মৃত্যু ৬, জাপানে আক্রান্ত ৯৪৩ এবং মৃত্যু ৩৩, মালয়েশিয়া এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৯শ এবং মারা গেছে ২ জন, কানাডায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮৭৩ এবং মৃত্যু ১২, পর্তুগালে আক্রান্ত ৭৮৬ এবং মারা গেছে ৪ জন।

অস্ট্রেলিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭৫৬ এবং মৃত্যু ৭, কাতারে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬০, পাকিস্তানে আক্রান্ত ৪৫৪ এবং মৃত্যু ২, তুরস্কে আক্রান্ত ৩৫৯ এবং মৃত্যু ৪, সিঙ্গাপুরে আক্রান্ত ৩৪৫, সৌদি আরবে ২৭৪, থাইল্যান্ডে আক্রান্ত ২৭২ এবং মৃত্যু ১, মিসরে আক্রান্ত ২৫৬ এবং মৃত্যু ৭।

ফিলিপাইনে আক্রান্ত ২১৭ এবং মৃত্যু ১৭, রাশিয়ায় আক্রান্ত ১৯৯ এবং মৃত্যু ১, ভারতে আক্রান্ত ১৯৪ এবং মৃত্যু ৪, ইরাকে আক্রান্ত ১৯২ এবং মৃত্যু ১৩। কুয়েতে করোনায় আক্রান্ত ১৪৮ এবং আরব আমিরাতে ১৪০। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ১৮ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে একজন। অপরদিকে ৩ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরেই প্রথম এই ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এখন পর্যন্ত এটি বিশ্বের অন্তত বহু দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। চীনের হুবেই প্রদেশের উহানের একটি সামুদ্রিক খাবারের বাজার থেকে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে বর্তমানে সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো ভাইরাসটি নতুন হওয়ায় এখনো কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। ভাইরাসটির সংক্রমণ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকা। তাই মানুষের শরীরে এমন উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চীনা বিজ্ঞানীরা।