পদ্মায় চাঁদাবাজি, অতিষ্ঠ জেলেরা

প্রকাশিত: ৫:০৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৯, ২০২০
ছবি সংগৃহীত

ধলাই ডেস্ক: মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে বেপরোয়া চাঁদাবাজদের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে পদ্মা নদীর ইলিশ শিকারীরা। শুধু জেলেই নয়, চাঁদাবাজদের হয়রানির শিকার হচ্ছে পদ্মায় চলাচল করা নৌযানগুলোও।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় চলে চাঁদাবাজি। কেউ চাঁদা না দিলে কিংবা প্রতিবাদ করলে মারধর ও হত্যার হুমকি দেয়া হয়। হয়রানির শিকার হয় জেলেদের পরিবার।

চাঁদাবাজি নিয়ে বারবার অভিযোগ করলেও পর্যাপ্ত জনবল ও জলযানের অভাবে ব্যবস্থা নিতে পারছে না নৌ-পুলিশ। এতে চাঁদাবাজরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লৌহজংয়ের ৩০টি নৌকা প্রতিদিন পদ্মা নদীর মাওয়া অংশে ইলিশ ধরতে যায়। সেখান থেকে ইলিশ ধরতে ধরতে শরীয়তপুরের জাজিরার সিডার চরে যায়। কিছুদিন ধরে জাজিরার এক প্রভাবশালী নেতা বোরহান মল্লিক ও তার ভাতিজা জেনারেল ইসলাম মল্লিক (জেনারেটর) মাছের ভাগ হিসেবে চাঁদা চাচ্ছেন। চাঁদা না পেলে জেলেদের মাছ ধরতে বাধা দিচ্ছেন, নৌকা আটকে রাখছেন। এতে ভয়ে নদীতে যেতে পারছে না জেলেরা। পরিবার নিয়ে খেয়ে-না খেয়ে দিনযাপন করছে তারা।

অভিযুক্ত বোরহান মল্লিক বলেন, আমি এসবের সঙ্গে জড়িত নই। তবে আমার ভাতিজা ব্যাপারী ভাগ হিসেবে কিছু টাকা নেয়।

জাজিড়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, বোরহান মল্লিকের নেতৃত্বে কয়েকটি নৌকা নিয়ে পদ্মায় চাঁদাবাজির অভিযোগ আমরা পেয়েছি। তিনি জেলে নৌকা, যাত্রীবাহী নৌযান, বাল্কহেডসহ বিভিন্ন নৌযানে চাঁদাবাজি করেন। পর্যাপ্ত জনবল ও জলযানের অভাবে আমরা অভিযানে যেতে পারি না। তবে মাঝেমধ্যে মৎস্য অধিদফতর ও থানা পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান চালানো হয়।