কীভাবে বুঝবেন মিথ্যে বলছে?

প্রকাশিত: ৮:৪৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১০, ২০১৯

ভালোবাসার ভিত্তিই হলো বিশ্বাস। তবে ছোটখাটো মিথ্যা না চাইতেও অনেক সময় বলে ফেলি আমরা। হতে পারে তা হাসি-ঠাট্টার ছলে, কিংবা অতীতের কোনো কষ্টকর অভিজ্ঞতা লুকিয়ে রাখতে গিয়ে।

কোনো কাছের মানুষকে নির্দোষ হিসেবে উপস্থাপন করতেও অনেক সময় মিথ্যার আশ্রয় নিতে হয়। তাতে বড় কোনো সমস্যা না হলে সেটি এড়িয়েও চলা যায়।

কিন্তু ক্রমাগত মিথ্যা বলা এসব সরলতার আওতায় পড়ে না। অকারণে কেউ আপনার বিশ্বাসের সুযোগ নিচ্ছেন না তো? সন্দেহ বাড়লে তা যাচাই করে নিতে পারেন আপনিও।

জেনে নিন কীভাবে যাচাই করবেন-

মনোবিদদের মতে, মিথ্যা বলা কঠিন কাজ। এর জন্য অ্যাড্রিনালিন হরমোনের ক্ষরণ হয়। তার প্রভাব পড়ে আচরণ ও বডি ল্যাঙ্গুয়েজে। চোখে চোখ রেখে কথা না বলতে পারা, চঞ্চল হয়ে পড়া, নানাভাবে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার মরিয়া চেষ্টা ইত্যাদি দেখা যায় তাদের আচরণে।

তিনি কথা ঘোরাতে চাইছেন কি না সেটাও বুঝে নিন। অকারণে কথা ঘোরালে সচেতন থাকুন।

একটি মিথ্যাকে ঢাকতে সাধারণত একাধিক মিথ্যের শরণ নেন অনেকেই। মিথ্যে সাজাতে যথেষ্ট যুক্তিও সাজিয়ে রাখেন। মন দিয়ে তার কথাগুলো শুনুন। চেষ্টা করুন তারই নানা কথার ফাঁকে সেই কথারই সূত্রে নানা প্রশ্ন করতে।

মেজাজ গরম নয়, বরং হাসি-ঠাট্টার ছলেই চলুক প্রশ্ন। বারবার বিভিন্ন প্রশ্নের প্রভাবে এক সময় মিথ্যার ডিফেন্স ভেঙে যাবে। কোনো ছক কাজ না করলে ধরা পড়বে সত্যও।

একটি ঘটনার সঙ্গে অন্য ঘটনার যোগ থাক বা না থাক, সঙ্গীর প্রতি সন্দেহ এলে তার বলা সব কয়টি কথা ও কাজ মনে রাখুন। মিথ্যার আশ্রয় নিলে সহজেই বুঝতে পারবেন। অনেকেই আগের সব কথা মনে রেখে মিথ্যার যুক্তি খাড়া করতে পারেন না। তাই মনে রাখুন সেসব।

এফএফ