ধলাই ডেস্ক: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় রেখে রাজধানীর ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় কোরবানি পশুর হাট না বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) ডিএনসিসির নগর ভবন থেকে এক ভিডিও বার্তায় এ কথা জানান ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম।
মেয়র বলেন, হাট ইজারা দিয়ে হয়তো কোটি টাকা আয় করা যাবে, কিন্তু টাকার চেয়ে মানুষের জীবনের মূল্য অনেক বেশি। তাই আমি ঢাকার বাইরে তুলনামূলক কম ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় হাট বসানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছি, যাতে ব্যবসায়ীরা পশু বিক্রিও করতে পারেন আবার জনস্বাস্থ্যও বিবেচনায় রাখা যায়।
তিনি আরও বলেন, তেজগাঁও, আফতাবনগর, ভাষানটেক এলাকায় বড় হাট বসে প্রতিবার। সেখান থেকে আমাদের অনেক টাকা আয়ও হয়। কিন্তু এ বছর করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে আমরা এলাকাবাসীর স্বাস্থ্যের কথা ভেবে এই স্থানে হাট বসতে দেব না।
রাজধানীর অন্যান্য এলাকার কথা উল্লেখ করে মেয়র আতিক বলেন, উত্তরা ১০, ১১ ও ১২ এই তিনটি সেক্টরে বড় হাট বসতো। গত বছর এই হাটে ইজারা মূল্য পাওয়া গিয়েছিল ৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। কিন্তু এ বছর এখানে আমরা হাট বসতে দেব না। উত্তরাবাসীর জন্য উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরের বৃন্দাবন এলাকায় বড় হাট বসবে, তারা সেখান থেকে পশু কিনতে পারবেন এবং ওই এলাকায় মানুষের বসবাসও কম। মোহাম্মদপুরের বাসিন্দাদের জন্য বসিলায় একটা হাট দেয়া হবে। এছাড়া হাট বসবে পূর্বাচল ব্রিজ সংলগ্ন মস্তুল ডুমনী ও ১০০ ফুট সড়কের সাইদ নগর এলাকায় এবং কাওলায়। গাবতলীতে আমাদের স্থায়ী পশুর হাট আছে, সেটা থাকবে।
তিনি বলেন, তবে ঢাকা উত্তরের সব হাটেই কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। আমি অনুরোধ করবো যাতে শারীরিকভাবে দুর্বল, অসুস্থ ও বয়স্ক মানুষ এবং শিশুরা পশুর হাটে না আসে। ইজারাদারদের বলা থাকবে যাতে পশুর হাটে ন্যূনতম ৫ ফুট দূরে দূরে গরু রাখার ব্যবস্থা করেন তারা। হাটে পর্যাপ্ত বেসিন ও হাত ধোয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে। জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে একটু পর পর মাইকিং থাকতে হবে। আমাদের পক্ষ থেকে সব হাটে ম্যাজিস্ট্রেট টহল থাকবে। ইজারাদারদের সতর্ক থাকতে হবে, আমাদের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে, অন্যথায় ইজারা বাতিল করা হবে।
কোরবানি পশুর বর্জ্য অপসারণের বিষয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, বরাবরের মতো এবারও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করতে প্রস্তুত ডিএনসিসি।
তিনি নগরবাসীকে অনুরোধ করে বলেন, আপনারা সিটি করপোরেশন কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি দেবেন। কোনো অবস্থায়ই বর্জ্য ড্রেনে ফেলবেন না। ইনশাআল্লাহ আমরা এবারও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা উত্তরের সব বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হবো।