ডেস্ক রিপোর্ট: গরমে শীতল থাকতে রাত-দিন ফ্যান চালাচ্ছেন, একটু সামর্থ্যবান হলে কিনে নিচ্ছেন এসি। আর বাতি, ফ্রিজ, কম্পিউটার, ওয়াশিং মেশিন, ওভেন, ব্লেন্ডার, আয়রন মেশিন ইত্যাদি তো আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় বস্তু। আর এই সবগুলো চালাতে দরকার পরে বিদ্যুতের।
শীতের সময়ে ফ্যান, এসি বন্ধ রাখলেও সমস্যা হয় না। যে কারণে বিদ্যুৎ বিল অনেকটা কমই আসে। কিন্তু গরমে? মাস শেষে বিদ্যুৎ বিল হাতে পেয়ে মাথা যেন আরও গরম হয়ে যায়!
জানেন কি এই গরমে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল থেকে বাঁচার উপায়? সেজন্য প্রথমে প্রয়োজন অভ্যাস বদল। নিজের ভুলগুলো খুঁজে বের করা। বিদ্যুৎ খরচ কমাতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করবে আপনার সতর্কতা। জেনে নিন বিদ্যুৎ বিল কমানোর কিছু কৌশল-
প্রথমেই সিদ্ধান্ত নিন অহেতুক অপচয় রোধ করবেন। বাড়িতে তিন-চারটি ঘর হলে অপচয় রুখতে সতর্ক থাকুন। যে ঘরটিতে আছেন, সেই ঘরটি ছাড়া অন্য ঘরে বাতি ও ফ্যান বন্ধ রাখুন।
ঘর থেকে বের হওয়ার সময় বাতি, ফ্যান ও অন্যান্য বৈদ্যুতিন যন্ত্রের সুইচ বন্ধ করা অভ্যাস করুন। বাড়ি থেকে কিছুদিনের জন্য কোথাও বেড়াতে গেলে মেইন সুইচ বন্ধ করতে ভুলবেন না।
প্রাকৃতিক আলো-হাওয়ায় ভরসা রাখুন। দিনের বেলায় যতটা কম সম্ভব আলো জ্বালান। ঘরের দেয়াল, ছাদ, পর্দা ও আসবাবপত্র সমূহে সাদা রঙের ব্যবহার ঘরকে উজ্জ্বলতর করে। এতে অনেকক্ষেত্রে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়ে থাকে।
একটি কম্পিউটার চব্বিশ ঘণ্টা চললে ফ্রিজের সমান বিদ্যুৎ খরচ হয়। যদি কম্পিউটার অন রাখতেই হয় সেক্ষেত্রে মনিটর বন্ধ রাখা উচিত। কারণ মনিটর একাই সিস্টেমের ৫০ শতাংশের বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। কম্পিউটার স্লিপ-মোডে রাখলে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় হতে পারে।
ফ্রিজে গরম খাবার রাখবেন না। খাবারের পরিমাণ বেশি না হলে ফ্রিজ খুব নিম্ন তাপমাত্রায় রাখা প্রয়োজনীয় নয়। মাসে এক দিন ফ্রিজ খালি করুন। ফ্রিজ পরিষ্কার করে রেগুলেটারকে বিশ্রাম দিন। অপ্রয়োজনে ফ্রিজ চালাবেন না।
এসি চালানোর ব্যাপারে সতর্ক হন। এমনকি এই প্রচণ্ড গরমেও সারারাত এসি চালাবেন না। বরং ঘণ্টা তিনেক এসি চালিয়ে ঘর ঠাণ্ডা করে নিয়ে, ফ্যান চালিয়ে দিন। প্রতিদিন সারারাত এসি চলাটা রুখতে পারলে, বিদ্যুৎ বিল অর্ধেক হয়ে যাবে।
আগে থেকে পরিকল্পনা করে একবারে অনেকগুলো কাপড় একসঙ্গে ইস্ত্রি করুন। বিদ্যুৎ বাঁচবে অনেকটা।
নোংরা টিউব লাইট এবং বাল্ব প্রায় ৫০ শতাংশ আলো শোষণ করে নেয়। আপনার টিউব লাইট এবং বাল্ব নিয়মিত পরিস্কার করুন। এলইডি আলো প্রচুর বিদ্যুৎ বাঁচায়। বাড়ির আলোগুলি একে একে বদলে এলইডি করে নিন।
ব্যাটারি চার্জার (যেমন- ল্যাপটপ, সেল ফোন এবং ডিজিটাল ক্যামেরা ইত্যাদির) সমূহ প্লাগ ইন করে রাখলে তারা শক্তি গ্রহণ করতে থাকে সুতরাং চার্জার বৈদ্যুতিক পয়েন্ট থেকে খুলে রাখা উচিত। অনেকেই চার্জার থেকে ফোন খোলেন কিন্তু সুইচটি আর বন্ধ করেন না। এমন হলে সচেতন হোন।