ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সাবেক ১০ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর হুঁশিয়ারি

প্রকাশিত: ৪:১৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৪, ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নির্বাচনে জালিয়াতির দাবি প্রমাণে সামরিক বাহিনীকে ব্যবহার করলে তার পরিণাম ভয়াবহ হবে বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোলান্ড ট্রাম্পকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ১০ প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এই পদক্ষেপকে বেআইনি উল্লেখ করে তারা বলেন, এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র অসাংবিধানিক ভূখণ্ডে পরিণত হবে।

ডেমোক্র্যাটিক ও রিপাবলিকান উভয় দলের ১০ সদস্যের স্বাক্ষরিত নিবন্ধটি সম্প্রতি ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপারে ট্রাম্পের সাংবিধানিক দায়িত্ব নিয়ে নিবন্ধে প্রশ্ন তুলেছেন তারা। ট্রাম্পের নাম উল্লেখ না করে তারা বলেন, ‘ফল নিয়ে প্রশ্ন তোলার সময় শেষ, সংবিধান অনুযায়ী নিয়মমাফিকভাবে ইলেক্টোরাল কলেজের ভোট গণনার সময় এসেছে।’

উল্লেখ্য, যৌথবাহিনীর প্রধান জেনারেল মার্ক মিলেসহ যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহে প্রকাশ্যে বলেছেন যে নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণে সামরিক বাহিনীর কোনো ভূমিকা নেই। তারা আরও বলেছেন, সামরিক বাহিনীর আনুগত্য যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রতি, কোনো রাজনৈতিক দলের নেতার প্রতি নয়।

অভিষেকের দিনে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হাতে প্রতিরক্ষা বিভাগের দায়িত্ব তুলে দেয়ার বাধা তৈরি ব্যাপারেও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা সতর্ক করে দেন। দায়িত্ব হস্তান্তরে ট্রাম্প নিয়োজিত পেন্টাগনের কর্মকর্তারা বাধা তৈরি করছে বলে অভিযোগ করেছিলেন বাইডেন।

তারা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা নীতির ব্যাপারে আন্তর্জাতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রায়ই হয়ে থাকে। এটি এমন এক সময়ের ভেতর হতে পারে যখন প্রতিপক্ষ পরিস্থির সুযোগ কাজে লাগাতে চায়।’

নিবন্ধে স্বাক্ষর করেছেন ডিক চেনি, উইলিয়াম পেরি, ডোলান্ড রামসফেল্ড, উইলিয়াম কোহেন, রবার্ট গেটস, লিওন প্যানেট্রা, চাক হ্যাগেল, অ্যাশ কার্টার, জেমস ম্যাটিস ও মার্ক এসপার। এর মধ্যে জেমস ম্যাটিস ছিলেন ট্রাম্পের প্রথম প্রতিরক্ষামন্ত্রী, তিনি ২০১৮ তে পদত্যাগ করেন। ম্যাটিসের পদে দায়িত্বগ্রহণ করেন মার্ক এসপার। নভেম্বরের নির্বাচনের কয়েকদিন পরেই এসপারকে বরখাস্ত করা হয়।