দুইশ গ্রাহকের টাকা নিয়ে এনজিও উধাও

প্রকাশিত: ৪:১০ অপরাহ্ণ, জুলাই ১, ২০২০
ছবি সংগৃহীত

ধলাই ডেস্ক: পিরোজপুরর কাউখালীতে ‘অনন্যা সমাজ কল্যাণ সংস্থা’ নামে একটি এনজিও প্রায় ২শ’ গ্রাহকের সঞ্চয়ের ২০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, তিনদিন ধরে সমিতির কার্যালয়ে তালা ঝুলছে।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার ভুক্তভোগী জাহান আরা বেগম পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। এরপর ওই এনজিওকে অফিস ভাড়া দেয়া বাড়ির মালিক আব্দুল জব্বার হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানায়, অনন্যা সমাজ কল্যাণ সংস্থা নামে কথিত এনজিওটি উপজেলার সদর ইউপির বাশরী সেতু সংলগ্ন আব্দুর জব্বারের বাড়ির পাকা ভবন ভাড়া নিয়ে কার্যক্রম চালাতো। এর আগে শহরের কলেজ পাড়ার একটি বাড়িতে কার্যক্রম শুরু করে।

ভুক্তভোগীরা জানান, বিভিন্ন ইউপিতে কয়েকশ সমিতি গঠন করে সহজ শর্তে ঋণ ও নানা আর্থিক সুবিধার দেয়ার কথা বলে দরিদ্রদের কাছ থেকে লাখ টাকা সঞ্চয় উত্তোলন করে এনজিওটি। প্রায় ২শ’ গ্রাহকের সঞ্চয়ের ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে তিনদিন আগে উধাও হয়ে যান কর্মকর্তারা। রোববার গ্রাহকরা সংস্থাটির কার্যালয়ে এসে বিক্ষোভ করে। খবর পেয়ে তাদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন কাউখালীর ইউএনও খালেদা খাতুন রেখা।

প্রতারণার শিকার মামুন মিয়া জানান, তিনি এক লাখ টাকা ঋণ নিতে ১১ হাজার টাকা সঞ্চয় হিসেবে জমা দিয়েছেন। দুইদিন আগে ঋণ দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু বরাদ্দ না আসার অজুহাতে তাকে ঘুরাচ্ছিলেন এনজিও’র কর্মকর্তারা।

আরেক ভুক্তভোগী ইলিয়াস হোসেন জানান, তিনি অনন্যা সমাজ কল্যাণ সংস্থা থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ তুলতে জামানত হিসেবে পাঁচ হাজার ২৫০ টাকা জমা দিয়েছেন। সোমবার তাকে ৫০ হাজার টাকা দেয়ার কথা ছিল।

তিনি আরো জানান, রোববার সকালে সমিতির অফিসে করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সন্দেহ হওয়ায় কার্যালয়ে গিয়ে তালা দেখতে পান। খবর পেয়ে তার মতো প্রতারিত অনেকে সেখানে গিয়ে বিক্ষোভ করেন।

বাড়ির মালিক আব্দুল জব্বার হোসেন জানান, ৭-৮ দিন আগে মামুন হাওলাদার নামে একজন অনন্যা সমাজ কল্যাণ সংস্থার শাখা ম্যানেজার পরিচয়ে অফিস ভাড়া নেন। রোববার লিখিত চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। এর আগেই অফিসে তালা দিয়ে পালিয়ে যান ম্যানেজারসহ অন্যান্য কর্মচারী।

কাউখালী থানার ওসি (তদন্ত) মো. রেজাউল করীম রাজীব জানান, প্রতারণার শিকার ২৫-৩০ জন তাদের সঞ্চয় বই থানায় জমা দিয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। প্রতারকদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

কাউখালীর ইউএনও খালেদা খাতুন রেখা জানান, প্রতারণার শিকার গ্রাহকদের সঞ্চিত টাকা ফেরত পেতে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।