দ্বিতীয় টেস্টেও ইনিংস ব্যবধানে হারলো বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ৩:৫৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৪, ২০১৯

খেলা ডেস্ক: ২৪১ রানের বোঝা মাথায় নিয়ে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৩ রানেই নেই ৪ উইকেট!  ইন্দোরে প্রথম টেস্টের পর কলকাতার ঐতিহাসিক গোলাপি বলের টেস্টেও তখন ইনিংস ব্যবধানে হার দেখছিলো টাইগারভক্তরা। শেষ পর্যন্ত সত্য হয়েছে সেই শঙ্কাই। দ্বিতীয় টেস্টেও ইনিংস ও ৪৬ রানের ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ।

সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে কলকাতার ঐতিহাসিক ইডেন গার্ডেন্সে প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেটে ৩৪৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত।

২৪১ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামা টাইগারদের শুরুটা ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। ২ রানের মধ্যেই দুই ব্যাটসম্যান হারায় সফরকারীরা। দলীয় রানের মধ্যেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার সাদমান ইসলাম ও অধিনায়ক মুমিনুল হক। রানের খাতা খোলার আগেই ইশান্ত শর্মার শিকারে পরিণত হন তারা।

দলীয় ৯ রানের মাথায় টাইগার শিবিরে আঘাত হানেন উমেশ যাদব। ৬ রান করে মোহাম্মদ শামির হাতে ধরা পড়েন মোহাম্মদ মিথুন। আবারো নামের প্রতি সুবিচার করতে ব্যর্থ ওপেনার ইমরুল কায়েস। তিনি যেন পণ করেই নেমেছেন সফরে ৬ রানের বেশি করবেন না কোনো ইনিংসে। আগের তিন ইনিংসে যথাক্রমে ৬, ৬ ও ৪ রানের পর এবার আউট হন ৫ রান করে। ইশান্ত শর্মার বলে ঋদ্ধিমান সাহার হাতে ধরা পড়েন তিনি।

চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে বিধি বাম। দলীয় ৮২ রানের মাথায় আউট না হলেও ইনজুরির কারণে মাঠ ছাড়েন রিয়াদ। ৪১ বলে ৩৯ রান করেন এই রিটায়ার্ড হার্ট ব্যাটসম্যান।

তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে বাংলাদেশকে ইনিংস পরাজয় এড়ানোর স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন মুশফিকুর রহিম। মেহেদী হাসান মিরাজ ১৫ ও তাইজুল ইসলাম ১১ রানের ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ দুটি ইনিংস উপহার দিলে দেড়শো পেরোয় বাংলাদেশের রান। দ্বিতীয় দিন শেষে ইনিংস পরাজয় এড়াতে বাংলাদেশের দরকার ছিল আরো ৮৯ রান।

তৃতীয় দিন এবাদতকে নিয়ে শুরু করেন মুশফিক। তবে মাত্র চার বল খেলে কোনো রান না করেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন এবাদত। আল আমিনকে নিয়ে ইনিংস হারের লজ্জা এড়াতে লড়াই করার চেষ্টা করেছিলেন মুশফিক। তবে যাদবের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ের কাছে পরাজিত হন তিনি। ৭৪ রানে মুশফিক ফেরার সঙ্গে সঙ্গেই মূলত ম্যাচ শেষ হয়ে যায়। শেষ দিকে ২০ বলে ২১ রানের ক্যামিও খেলেন আল আমিন। তবে টাইগারদের ইনিংস হারের লজ্জা থেকে বাঁচাতে তা যথেষ্ট ছিল না।

পাঁচ উইকেট নেন উমেশ যাদব। ইশান্ত শিকার করেন চারজনকে।