দ্বিতীয় স্ত্রীর হাতে স্বামী খুন, অভিযোগ প্রথম স্ত্রীর

প্রকাশিত: ৬:৩২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৪, ২০২০

ধলাই ডেস্ক: রংপুরের মিঠাপুকুরে ভাইদের সহযোগীতায় দ্বিতীয় স্ত্রী আনিছা বেগম ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামকে খুন করেছেন। পরে মরদেহ আম গাছের ডালে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা হিসেবে প্রচারণা চালানো হয়েছে।

শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেছেন নিহতের প্রথম স্ত্রী আনজুয়ারা বেগম। উপজেলার ময়েনপুর ইউপির ময়েনপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।

নিহতের প্রথম স্ত্রী আনজুয়ারা বলেন, বদরগঞ্জ উপজেলার কচুয়া মন্ডলপাড়ার বাসিন্দা সাইফুল ইসলামের  সঙ্গে দীর্ঘদিনের দাম্পত্য জীবনে তিন সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে আহসান হাবিব, মেয়ে শাহারা, সাবিহা। সুখেই  চলছিল সংসার। এরই মধ্যে নেমে আসে ঘোর অনামিশা।

তিন বছর আগে মিঠাপুকুরের ময়েনপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের মফিজুল ইসলাম জাদু মিয়ার মেয়ে আনিছা খাতুনের সঙ্গে পরকীয়া হয়। প্রেমের জালে ফেলে সে স্বামীকে বিয়ে করে তার কাছে রাখে। সেখানেই ব্যবসা-বাণিজ্য করে আসছিলেন সাইফুল। কিন্তু সম্পত্তি লিখে না দেয়ায় আনিছা ও তার ভাইয়েরা গত বছরের ২২ অক্টোবর রাতে শ্বাসরোধে হত্যা করে।

এরপর স্থানীয় একটি মন্দিরের পাশে আমগাছের ডালের সঙ্গে লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা হিসেবে প্রচারণা চালায়। পরে, তারা পালিয়ে যায়।’ ওই সময় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়।

আনজুয়ারা বেগম আরো বলেন, এ ঘটনার এক মাস পর স্বামীর হত্যাকারীরা নতুন ষড়যন্ত্রের ফাঁদ পাতে। নিজেদের অপরাধ ঢাকতে আনিছা বেগম নিরীহ গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। এরইমধ্যে ছাত্র তৌহিদুল ইসলাম, কৃষক আনিছুল ইসলাম, তহমুল, সেরাজুল ও মিলন মিয়াকে আসামি করেছেন আনিছা বেগম।

সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ শতাধিক গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে আজিজ মিয়া, জাহাঙ্গীর আলম, গোলজার হোসেন, শাহজাহান মিয়া বলেন, ব্যবসায়ী সাইফুলকে হত্যা করেছেন দ্বিতীয় স্ত্রী আনিছা খাতুন ও তার ভাইয়েরা। এখন তারা গ্রামের নিরীহ মানুষকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।

একই কথা বলেন, মর্জিয়া বেগম, চম্পলা রানী, কল্পনা বেগম, মমতাজ হোসেন, সোহরাব হোসেন, আ. সালাম, মাজেদাসহ অনেকে।

নিহত সাইফুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী আনিছা খাতুন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

মিঠাপুকুর থানার ওসি জাফর আলী বিশ্বাস বলেন, ব্যবসায়ী সাইফুলের মৃত্যুর ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসার পর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি আরো বলেন, এখনও এ ধরনের কোনো নথি হাতে আসেনি। তবে, কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে হয়রানী করা হবে না।