বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাব, লকডাউন শিথিল, ঈদ উদযাপন ও আমাদের করণীয় শীর্ষক ভার্চুয়াল সভা

প্রকাশিত: ১:২৯ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১৯, ২০২১

ধলাই ডেস্ক: ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস NHS ওয়ার্কার, যুক্তরাজ্য কমিউনিটি নেতা ও জার্নালিস্ট নজরুল ইসলামের উদ্যোগে বাংলাদেশ করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাব, লকডাউন শিথিল, ঈদ উদযাপন ও আমাদের করণীয় শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সামাজিক সচেতনতামূলক আলোচন সভা অনুষ্ঠিত হয়।

যুক্তরাজ্য থেকে দেশ ও বহির্বিশ্বে বসবাসরত কমলগঞ্জের বিশিষ্ট জন কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ এ আলোচনায় সম্পৃক্ত হোন।

উল্লেখ্য,পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন, জনসাধারণের যাতায়াত, ঈদ পূর্ববর্তী ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা, দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে আগামী ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত আগের আরোপিত সকল বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। ধর্মীয় অনুভূতি ও আবেগের জায়গা থেকে গৃহীত এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে সকলেই উদ্বেগ উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেন। নজরুল ইসলামের প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় ও কমরেড সিকান্দার আলীর সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, শিক্ষানুরাগী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম, শিক্ষানুরাগী ও দাতা ফখর উদ্দিন চৌধুরী, কমিউনিটি নেতা ফটিক আহমদ, মাহবুবুল আলম বাচ্চু বক্ত, কবি ইকবাল, প্রিন্সিপাল নেছার আহমদ, লেখক মোনায়েম খান, শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম, কমলগঞ্জ এসোসিয়েশন যুক্তরাজ্যের সেক্রেটারি বুলবুল আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার মোতাহার হোসেন, কমিউনিটি নেতা গোলাম সরোয়ার মকবুল, কমলগঞ্জ প্রেসক্লাব সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান, সাংবাদিক শাহীন আহমদ, মাওলানা সাইদুর রহমান, Hope Foundation বাংলাদেশে কর্মরত কর্মকর্তা মহিবুল ইসলাম মিসবাহ প্রমুখ। ভার্চুয়াল সভায় উপস্থিত আলোচকবৃন্দ বলেন, ঈদ আমাদের জীবনে ঘুরে আসবে। এই মহামারীকে মোকাবেলা করার জন্য বাংলাদেশ covid-19 বিশেষজ্ঞ যে টিম তৈরি করা হয়েছে তাদের পরামর্শ মোতাবেক আমাদের এগিয়ে যাওয়া উচিত। covid-19 মহামারীকে মোকাবেলা করার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় বড় বড় উৎসবকে ইতিমধ্যে বাতিল করেছে। লন্ডন সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বড়দিন ও ঈদ উৎসব পালন বাতিল করা হয়েছিল। আলোচকবৃন্দ বলেন, আমরা ঈদ উদযাপন করব, গরুর গোস্ত খাব পাশাপাশি আমাদের একটি নৈতিক দায়িত্ব হলো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রদত্ত covid-19 বিধি-নিষেধ মেনে চলা। আবেগের বশবর্তী হয়ে সামগ্রিকভাবে আমরা যেন আমাদের নিজেদের ক্ষতি না করি।সামাজিক দূরত্ব এবং মাক্স পরিধান করা এই ভাইরাস ইনফেকশন রোধে একটি প্রধান হাতিয়ার। আমরা ভাল থাকব, সুরক্ষিত থাকব, আমাদের নিজেদের জন্য, আমাদের পরিবারের জন্য। এই ভাইরাসটির রূপ অপরিবর্তিত। ভাইরাসটি কেমন ইতিমধ্যে আমরা সবাই জেনেছি। তাই সুরক্ষিত থাকার বিষয়টি আমাদের হাতে। করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলেছে। মহামারিতে বিশ্বের দরিদ্র মানুষের সংখ্যা লাফিয়ে ওঠার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ভাইরাস সংকটের সঙ্গে যুক্ত অর্থনৈতিক পরিণতি সামাজিক অস্থিরতার মাত্রা বাড়িয়ে দেবে। যেহেতু ভাইরাসজনিত রোগ নিরাময়ের জন্য কোনো ওষুধ নেই। সুতরাং এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য যত্নশীল, উদ্ভাবনী এবং চিন্তাশীল সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রয়োজন। ভার্চুয়াল সভার উদ্যোক্তা নজরুল ইসলাম বলেন, এই মহামারীকে আমরা সমন্বিতভাবে মোকাবেলা করবো একটি টিম ওয়ার্ক এর মাধ্যমে। করোনাভাইরাস লুকোচুরির কোনো বিষয় নয়। আপনার যদি হয়ে থাকে হয়েছে ,আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আপনার পরিবার ও আপনার আশপাশের লোকজনকে সুরক্ষিত রাখার দায়িত্ব আপনার। ভাইরাস নিয়ে লুকোচুরি করার কোনো কিছু নেই। সামাজিক সচেতনতামূলক এই আলোচনায় অংশগ্রহণ করার জন্য নজরুল ইসলাম উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান।