মিয়ানমারে গ্রেফতার প্রায় ৫০০, জনবিক্ষোভ চলছেই

প্রকাশিত: ৫:৩৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের কয়েক দিন পর থেকেই দেশটির শিক্ষক, শ্রমিক, চিকিৎসক, সরকারি কর্মকর্তাসহ সর্বস্তরের জনতা বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন। সেই সঙ্গে সামরিক সরকারের দ্বারা চলছে গ্রেফতারও। অভ্যুত্থানের পর বুধবার পর্যন্ত প্রায় ৫শ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিক্ষোভে মদত দেয়ার অভিযোগে বুধবার দেশটির ছয়জন সেলিব্রিটির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে জান্তা সরকার।

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, বৃহস্পতিবারও হাজার হাজার বিক্ষোভকারী শহরের একটি ব্যস্ত কেন্দ্রে ইয়াঙ্গুনের প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে জড়ো হয়েছেন। শহরের আরেক অংশে ছাত্রদেরও সমবেত হওয়ার কথা রয়েছে।

বিক্ষোভে সংহতি প্রকাশকারী অনেকে বুধবার ইয়াঙ্গুনে তাদের গাড়ি নষ্ট হয়ে গিয়েছে এমন ভান করে রাস্তায় গাড়ি ফেলে রাখেন। ফলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যান চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার খুব ধীর গতিতে রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তারা।
দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্ডালেতে বিক্ষোভকারীরা র‍্যালি করেছে। চাকরিজীবীরা তাদের কাজে ফিরে না এলে ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিয়েছে সামরিক সরকার। তবে এরপরও ধর্মঘট তুলে নেয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

মিয়ানমার’স অ্যাসিসট্যান্স আসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার নামক একটি সংস্থা জানিয়েছে, অভ্যুত্থানের পর বুধবার পর্যন্ত দেশটিতে সামরিক জান্তা সরকারের দ্বারা গ্রেফতার ব্যক্তিদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৯৫ জনে।

বুধবার চলচ্চিত্র পরিচালক, অভিনেতা ও শিল্পীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে জান্তা সরকার। সরকারি কর্মচারীদের বিক্ষোভে অংশগ্রহণে প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে এই পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এই অভিযোগে দেশটিতে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

বিবিসি জানিয়েছে, মান্ডালেতে রেলওয়ে স্টেশনের কাছাকাছি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী গুলি ছোড়ে যাতে অন্তত একজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। জানা গেছে, বিক্ষোভকারীরা একটি সামরিক রসদবাহী ট্রেন আটকে দেয়ার চেষ্টা করেছিল। তবে রেলওয়ে কর্মীরা জানান, বন্দুকের মুখে তারা ট্রেনটি চালাতে বাধ্য হয়।