ধলাই ডেস্ক: সিলেটের ওসমানীনগরে শশুর বাড়িতে বেড়াতে আসা এক জামাইর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে ওসমানীনগর থানা পুলিশ। গলায় ফাঁস লাগা অবস্থায় রবিবার দিবাগত রাতে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। শশুর বাড়িতে জামাইর মৃত্যু নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধুম্রজাল। নিহতের পরিবারের দাবি এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। এই ঘটনায় মামলা দায়ের প্রস্থতি চলছে বলে জানিয়েছে নিহতের পরিবার। নিহত কতার প্রবাসী সায়েফ বীন করিম। মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার ভানুগাছ গ্রামের ফয়জুল করিম বাবুলর পুত্র।
জানা গেছে, গত এক বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় সিলেট জেলার ওসমানীনগর উপজেলার গুলমাকাপন গ্রামে মৃত আব্দুল কালাম আহমেদ এর মেয়ে তাসমিনস আহমেদ এর সাথে। পর দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কে বিবাহ বন্ধবে আবদ্ধ হন সায়েফ বীন করিম ও তাসমিনস আহমেদ। দুই পরিবার প্রথমে এই বিয়ে মেনে না নিলেও পরে মেনে নেন। গত দুই মাস থেকে শশুর বাড়ি রয়েছেন সায়েফ বীন করিম। চলিত মাসে যুক্তরাজ্য থেকে সায়েফ এর শাশুড়ী, শালা,শালী ও মামা শশুর দেশে আসেন।
গত রবিবার শশুর বাড়িতে রাতে খাবার খেয়ে ঘুমাতে যায় সায়েফ বীন করিম। দরজা বন্ধ দেখে তাকে ডাকাডাকি করেও কোন সারা শব্দ না পেয়ে থানা পুলিশ এবং সায়েফের বাড়িতে খবর দেয় তার শশুর বাড়ির লোকজন। খবর পেয়ে সায়েফের বাবা, মা, ও ছোট বোন ঘটনাস্থলে আসেন। এর আগেই থানা পুলিশ ঘরের দরজা ভেঙে সিলিং ফ্যানের সাথে থাকা সায়েফের জুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এম ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা।
নিহতের চাচা জুনেদ মিয়া বলেন, আমরা ধারণা করছি এইটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। ময়না তদন্তের রির্পোট পাওয়ার পর বিষয়টি জানা যাবে। এই ঘটনায় মামলা দায়ের প্রস্থতি নিচ্ছি।
ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্য (ওসি) এস এম মাঈন উদ্দিন বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। ময়না তদন্তের রির্পোট হাতে পাওয়ার পর বিস্তারিত বলা যাবে।