সিলেটে শ্রমিক নেতা রিপন খুন : গ্রেফতার ২

প্রকাশিত: ৪:২২ অপরাহ্ণ, জুলাই ১১, ২০২০
সংগৃহীত

ধলাই ডেস্ক: সিলেট বিভাগীয় ট্যাঙ্ক-লরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন রিপন খুনের ঘটনায় সিলেট রেলওয়ে মাস্টারসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ আরও সাতজনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামল করা হয়েছে। আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শনিবার (১১ জুলাই) বেলা ১১টায় সাদ্দাম ও নোমান নামের দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার দুপুরে দক্ষিণ সুরমা থানায় এ ঘটনায় হত্যা মামলা করেন নিহত শ্রমিক নেতা ইকবাল হোসেন রিপনের স্ত্রী ফারজানা আক্তার তমা।

মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন- সিলেট রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার মতিন ভূঁইয়া (৫৫), ওয়ার্কার সুপারভাইজার শহিদুল হক (৫৮), রেলওয়ের আইডব্লিউ শাখার কর্মী আকবর হোসেন মজুমদার (৪৮), দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বরইকান্দি ১ নম্বর রোডের মৃত ফরিদ আহমেদের ছেলে ইজাজুল ইসলাম (২৮), মৃত ফারুক মিয়ার ছেলে রিমু (২৮), মৃত আব্দুল করিম মনজ্জিরের ছেলে মুহিবুর রহমান মুন্না (৩০), মৃত আসদ্দর আলীর ছেলে মোস্তফা (৪০), মৃত বশির মিয়ার ছেলে মিন্টু (৩৮), লিলু মিয়ার ছেলে সেবুল (২৩), চান মিয়ার ছেলে আব্দুল কাইয়ুম (২৮), ফারুক মিয়ার ছেলে বদরুল ইসলাম (২৮), মৃত ফরিদ মিয়ার ছেলে ইসমাইল হোসেন (৩০), একই উপজেলার সাঙ্গু গ্রামের মৃত করিব মিয়ার ছেলে নোমান (৩৯)। এছাড়া আরও সাতজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট আসামির সংখ্যা ২০ জন।

দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশের ওসি খায়রুল ফজল বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নোমান ও সাদ্দাম নামের দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক দল মাঠে রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এর আগে শ্রমিক নেতা হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে শনিবার (১১ জুলাই) দুপুর দেড়টা পর্যন্ত দক্ষিণ সুরমার বাবনা পয়েন্ট, মহাসড়কের চন্ডিপুল, হুমায়ুন রশীদ চত্বর, পারাইরচক পয়েন্ট অবরোধ করে রাখেন শ্রমিকরা। পরে দক্ষিণ সুরমাস্থ ট্যাঙ্ক-লরি শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও রাজনৈতিক নেতাসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। পরে সবার অনুরোধে অবরোধ তুলে নেন শ্রমিকরা।

শুক্রবার (১০ জুলাই) রাত সোয়া ১০টার দিকে নগরের দক্ষিণ সুরমার এলাকার বাবনা পয়েন্টস্থ সিতারা হোটেলের সামনে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন রিপন ও তার সঙ্গে থাকা শ্রমিক নেতা বাবলা আহমদ তালুকদার। পরে তাদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রিপনের মৃত্যু হয়। নিহত ইকবাল হোসেন রিপন দক্ষিণ সুরমার খোজার খলা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে এবং আহত বাবলা আহমদ তালুকদার একই গ্রামের মৃত মোক্তার আহমদ তালুকদারের ছেলে।