সুনামগঞ্জে শিশু তুহিন হত্যায় বাবা-চাচার মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত: ৫:৪৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৬, ২০২০
ছবি সংগৃহীত

ধলাই ডেস্ক: সুনামগঞ্জে সাড়ে পাঁচ বছরের শিশু তুহিনকে নৃশংসভাবে হত্যার দায়ে বাবা আব্দুল বাছির ও চাচা নাসির মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। কারাগারে আটক অপর দুই চাচা জমসেদ ও মোছাব্বিরকে খালাস দিয়েছে আদালত।

সোমবার বেলা ১১টায় জেলা ও দায়রা জজ ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার এ রায় দেন।

এর আগে গত ১০ মার্চ আরেক অভিযুক্ত শিশুর চাচাতো ভাই শাহরিয়ারকে আট বছরের আটকাদেশ দিয়েছিলেন শিশু আদালত।

আলোচিত এ মামলায় পাঁচ মাসের মধ্যেই বিচারকাজ শেষ করেছে আদালত।

মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরু বলেন, তুহিন হত্যার মামলায় বাবা আব্দুল বাছির ও চাচা নাসির মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। কারাগারে আটক দুই চাচা মোছাব্বির ও জমসেদকে খালাস দেয়া হয়েছে।

সুনামগঞ্জ পাবলিক প্রসিকিউর অ্যাডভোকেট শামুসন্নাহার রব্বানী শাহানা বলেন, আলোচিত মামলায় দ্রুততম সময়ে রায় দিয়েছে আদালত। এ ঘটনায় বাবা ও চাচাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।

ছবি: ডেইলি বাংলাদেশ

২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর রাতে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কেজাউড়া গ্রামের বসতঘর থেকে তুলে নিয়ে ঘুমন্ত শিশু তুহিন মিয়াকে গলাকেটে তার লিঙ্গ, দুই কান কেটে পেটে দুটি ছুরি বিদ্ধ করে গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়। ঘটনার দুই দিন পর চাচাতো ভাই শাহরিয়ার আহমদ ও তার দুই চাচা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে স্বীকার করেন। তবে বাবা আব্দুল বাছির ও চাচা মাওলানা আব্দুল মোছাব্বির তুহিন হত্যার কথা স্বীকার করেননি। বাবা আব্দুল বাছিরকে দুই দফা রিমান্ডে নিলেও তিনি ছেলে হত্যার সম্পৃক্ততা স্বীকার করেননি।

মামলায় বাবা আব্দুল বাছির, চাচা জমসেদ, নাছির, মাওলানা মোছাব্বির ও চাচাতো ভাই শাহরিয়ারের বিরুদ্ধে গত ৩০ডিসেম্বর আদালতে পৃথক  চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।

অভিযুক্ত চাচাতো ভাই শাহরিয়ারের বয়স কম হওয়ায় তাকে বিচারের জন্য শিশু আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।

গত ২ জানুয়ারি শাহিরয়ারের বিরুদ্ধে আদালত চার্জ গঠন করেন। গত ৩মার্চ আদালত যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ১০মার্চ মঙ্গলবার সকালে তুহিন হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত চাচাতো ভাই শাহরিয়ার আহমদকে আট বছরের আটকাদেশ দেয় শিশু আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন।

সূত্র: ডেইলী বাংলাদেশ…