ডেস্ক নিউজ: প্রেমিকের অ্যাকাউন্টে ৪৬ লাখ টাকা অবৈধভাবে ট্রান্সফার করে লাপাত্তা হয়েছেন ব্যাংকের এক নারী কর্মকর্তা। এ ঘটনার পর অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুরে দেশটির সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের একটি শাখায় এ ঘটনা ঘটেছে। দেশটির একটি দৈনিক বলছে, ভারতের কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকের অস্থায়ী নারী কর্মকর্তা পিয়ালী দাসের বিরুদ্ধে তার প্রেমিকের অ্যাকাউন্টে ৪৬ লাখ টাকা অবৈধভাবে ট্রান্সফারের অভিযোগ উঠেছে।
২০১১ সালে কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকের খাগড়া শাখায় অস্থায়ী কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি পান পিয়ালী দাস। তার বাড়ি বহরমপুর শহরের কাশিমবাজারে।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলছে, কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকের ঘাগড়া শাখায় একটি ফিক্সড ডিপোজিট করেছেন পিয়ালীর প্রেমিক। সেই ফিক্সড ডিপোজিটের মেয়াদ এখনও পূর্ণ হয়নি। অথচ গত কয়েক মাস ধরে দফায় দফায় প্রেমিকের অ্যাকাউন্টে প্রায় ৪৬ লাখ টাকা ট্রান্সফার করেছেন পিয়ালী।
ব্যাংকের ম্যানেজার সৌমেন সরকার বলেছেন, প্রতারণার ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে ব্যাংকে আসছেন না পিয়ালী। তার সঙ্গে যোগাযোগও করা যাচ্ছে না।
বহরমপুর থানায় ওই অস্থায়ী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
পিয়ালী দাস ও তার প্রেমিককে খুঁজছে পুলিশ। এ দিকে অভিযুক্ত ওই নারী সিপিএমের যুব সংগঠনের নেত্রী ছিলেন বলে দলটি স্বীকার করেছে। তবে বর্তমানে দলের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছে সিপিএমের স্থানীয় নেতারা।