কমলগঞ্জে ঈদের আগে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে উঠবে ৫০ গৃহহীন পরিবার
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের বরাদ্দের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পবিত্র ঈদের উপহার হিসেবে তৃতীয় পর্যায়ে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রম আগামী ২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন। এ কার্যক্রমের আওতায় ওইদিন দেশব্যাপী প্রায় ৩২ হাজার ৯০৪টি পরিবারকে জমি ও ঘর হস্তান্তর করা হবে। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ৫০ টি পরিবার পাবে এই উপহারের ঘর। এর মধ্যে কমলগঞ্জের আলীনগর ইউনিয়নের রাজকান্দি এলাকায় ৫০ টি ভ‚মিহীন পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে দুই শতক জমিসহ একটি নতুন ঘর। এই ঘর পাওয়ার মধ্যে দিয়ে উপকারভোগীদের এবারের ঈদ হবে অন্যরকম। এবার তারা নিজের ঘরে থেকে ঈদ উদযাপন করবেন। উদ্বোধনী কার্যক্রমটি সরাসরি সম্প্রচারপূর্ব্বক মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টায় কমলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপকারভোগী পরিবারের নিকট জমিসহ গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশেকুল হক জানান, তৃতীয় পর্যায়ের প্রতিটা ঘরে ব্যয় ধরা হয়েছে দুই লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা। ঘরে বিদ্যুৎ ও নিরাপদ পানিরও সুব্যবস্থা রয়েছে উপকারভোগীদের জন্য। তাছাড়া উপকারভোগীর তালিকা যাচাই-বাছাই করা হয়েছে স্বচ্ছতার সঙ্গে। ২৬ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উক্ত কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে ঘরগুলো উপকারভোগীদের হাতে হস্তান্তর করা হবে। ইউএনও বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উল্লেখযোগ্য অর্জন হচ্ছে ভ‚মিহীন ও গৃহহীনদের গৃহ প্রদান করা। প্রধানমন্ত্রীর সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে আমরা সর্বোচ্চ নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। গৃহ প্রদানে আমরা স্থানীয়ভাবে প্রথমে প্রত্যেক ইউনিয়নে জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করে তালিকা করেছি। পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আলাদা যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত উপকারভোগীদের তালিকা স্বচ্ছতার ভিত্তিতে প্রণয়ন করেছি।
ইউএনও আশেকুল হক আরো বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজের অভিজ্ঞতায় মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের এসব ঘরগুলো অধিকতর মজবুত, টেকসই ও গুণগত মান বৃদ্ধি করে এগুলোর নকশায় ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। জায়গা না থাকায় বিভিন্ন ব্যক্তির অবৈধ দখলে থাকা সরকারি খাস জমি উদ্ধার করে অনেক ঘর তৈরি করা হয়েছে। এর আগে প্রথম পর্যায়ে ৮৫টি ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩৩০টি ঘর গৃহহীন পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। প্রথম পর্যায়ে বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। নীল, লাল ও সবুজ টিনশেডের প্রতিটি ঘরে রয়েছে ইটের দেয়াল, কংক্রিটের মেঝে এবং টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি দুটি করে শোয়ার ঘর, একটি রান্নাঘর, টয়লেট এবং সামনে খোলা বারান্দা।