কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: দরজায় কড়া নাড়ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) মহাপঞ্চমীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে শারদীয় উৎসব। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এই উৎসবকে ঘিরে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের সর্বত্র চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি ও মন্ডপে মন্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরির শেষ মুহূর্তের কাজ।
উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপ ঘুরে দেখা যায়, মাটির কাজ শেষ করে প্রতিটি প্রতিমাকে রঙ-তুলির নিপুণ আঁচড়ে রাঙাতে ব্যস্ত শিল্পীরা। চলছে সাজ-সজ্জার কাজও। তবে এবারের পূজার প্রতিমায় ব্যতিক্রম আনার চেষ্টা করেছেন বেশ কয়েকটি পূজামান্ডপ। দব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির কারণে বিগত বছরের তুলনায় এ বছর দূর্গোৎসবে দ্বিগুন ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে আয়োজকদের। এরপরও থেমে নেই কোন আয়োজন। রকমারী আলোক সজ্জার বর্ণালী বাহারে সাজানো হবে মন্ডপ ও তার আশপাশ। হাতে আর কয়েকদিন বাকি। তাই রাত-দিন চলছে সাজ-সজ্জার কাজ।
কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়নের কুমারটেকি পালপাড়ার মৃৎশিল্পী অজিত রুদ্র পাল জানান, এ বছর করোনার প্রভাব কম থাকায় গত বছরের চেয়ে পূজা মÐপের সংখ্যা বেড়েছে। এবার তিনি ১০টি দূর্গা প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন। সবকটি প্রতিমার মাটির কাজ প্রায় শেষ। এখন রং তুলির কাজ চলছে। ইতিমধ্যে ৪টি প্রতিমার রঙের কাজ শেষ করেছেন। আগামী তিন চার দিনের মধ্যেই বাকি প্রতিমাগুলোর রঙের কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে তিনি জানান।
এবার কমলগঞ্জ উপজেলায় ১৬০টি মন্ডপে পূজা আয়োজন করা হয়েছে। তার মধ্যে সার্বজনীন ১৪৩টি, পারিবারিক ১৭টি পূজোর আয়োজন হয়েছে।
কমলগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রণীত দেবনাথ জানান, প্রতিটি মন্ডপে কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন কমিটির ২১ দফা নির্দেশনা প্রতিপালনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। গত বছর কমলগঞ্জ উপজেলার ১৫টি পূজামন্ডপে হামলার ঘটনা ঘটায় এবার প্রশাসন কঠোরভাবে অবস্থানে থেকে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছেন। প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী রাখার জন্য প্রতিটি মন্ডপ কমিটিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দিন বলেন, শারদীয় দূর্গাপূজা উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষে উপজেলার পূজা মন্ডপ কমিটির নেতৃবৃন্দদের নিয়ে বিশেষ আইন শৃঙ্খলা সভা করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলার প্রতিটি স্থানে শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গোৎসব পালনের জন্য সার্বিক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়ারদৌস হাসান বলেন, পূজা উপলক্ষে সকল ধরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।