বাসের ধাক্কায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) ছাত্র আবরার আহমেদ চৌধুরীর মৃত্যুর প্রতিবাদে ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজধানীর প্রগতি সরণির যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে মানববন্ধন করেছেন কিছু শিক্ষার্থী।
গত মঙ্গলবার যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে রাস্তা পার হতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান আবরার।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে শতাধিক শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে এই মানববন্ধন শুরু হয়। এর আগে বেলা সোয়া ১১টার দিকে বিইউপি ও আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) এই শিক্ষার্থীরা প্রগতি সরণি থেকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ঢোকার মুখে সড়কে এসে জড়ো হন। এ সময় সেখানে দায়িত্ব পালনরত পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেন।
সেখানে উপস্থিত একজন শিক্ষার্থী রায়হানুল বলেন, পুলিশ তাঁদের সড়কে অবস্থান না নেওয়ার অনুরোধ করেছেন। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের বিষয়টি মাথায় রাখার কথা বলেছেন। ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা পুলিশকে বলেছি, আমাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ। এরপর আমরা মানববন্ধন করার সিদ্ধান্ত নিই।’
এআইইউবির একজন ছাত্র বলেন, ‘আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। আন্দোলন না থাকলে কোনো দাবি আদায় হবে না। কর্তৃপক্ষ চাপ অনুভব করবে না।’
নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একটি অংশ সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার থেকে কর্মসূচি স্থগিত করেছে। তবে একটি অংশের এই স্থগিতাদেশ নিয়ে আপত্তি আছে। তারা কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে। অবশ্য আজ প্রগতি সরণিতে মানববন্ধন ছাড়া আর কোনো কর্মসূচি চোখে পড়েনি।
আজকের মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের হাতে জাতীয় পতাকা এবং বিভিন্ন দাবি লেখাসংবলিত প্ল্যাকার্ড ছিল। অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা আবরারকে চাপা দেওয়া বাসের চালকের মৃত্যুদণ্ড দাবি করেন। তাঁরা সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
টেলিফোনে বাড্ডা থানায় যোগাযোগ করা হলে সেখানকার দায়িত্বরত কর্মকর্তা (ডিউটি অফিসার) প্রথম আলোকে বলেন, ৫০ থেকে ৬০ জনের মতো শিক্ষার্থী যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে ফুটপাতে মানববন্ধন করছেন। সেখানকার সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক।