প্রাথমিকের শিক্ষকদের হয়রানি বন্ধের দাবি

প্রকাশিত: ১২:৪৬ পূর্বাহ্ণ, মে ১৪, ২০১৯

ডেস্ক রিপোর্ট: ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকরা নানাভাবে হয়রানির মুখে পড়েছেন।

৬ বছর আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতিক্রমে প্রধান ও সহকারী শিক্ষকরা টাইম স্কেলসহ আর্থিক সুবিধাদি উত্তোলন করলেও, আইনের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে সুযোগ-সুবিধা থেকে শিক্ষকদের বঞ্চিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

সোমবার জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষক মহাজোট নেতৃবৃন্দ জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করে হয়রানি বন্ধের দাবি জানান। পাশাপাশি কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে সরকারকে আগামী ১২ জুন পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, নির্ধারিত সময়ের পরও যদি জাতীকরণকৃত প্রাথমিক শিক্ষকদের হয়রানি করার অপচেষ্টা অব্যাহত থাকে, তা হলে আগামী ১২ জুন দেশের সকল জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। এরপরও হয়রানি বন্ধ না হলে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিক্ষক মহাসমাবেশের ঘোষণা দেয়া হবে বলে জানান তারা।

মহাজোটের সমন্বয়ক মো. আমিনুল ইসলাম চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করে বলেন, ২০১৩-১৪ সালে জাতীয়করণকৃত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন নির্ধারণের জন্য চাকরিকাল গণনা ও ছুটিসহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধাদি প্রাপ্তির জন্য এস.আর.ও নং-৩১৫-আইন/২০১৩ অনুযায়ী প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতিক্রমে ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি ও ৫ জুন মঞ্জুরির জন্য পরিপত্র জারি করেন।

মঞ্জুরির আদেশ বলে দেশের প্রত্যেকটি উপজেলার জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের কার্যকর চাকরিকালের ভিত্তিতে টাইম স্কেল ও বেতন নির্ধারণ করে বকেয়াসহ আর্থিক সুবিধাদি গ্রহণ করেন।

তিনি আরও বলেন, অধিগ্রহণকৃত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক বিধিমালা এস. আর. ও-নং ৩১৫ আইন, ২০১৩ বিধি (৯) উপবিধি (১) এর ভুল ব্যাখ্যা ও অপব্যাখ্যা দিয়ে জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের নানা ধরনের হয়রানি করে আসছে। এসব হয়রানি বন্ধের দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক শিক্ষক নেতৃবৃন্দের মধ্যে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষক পরিষদ সাধারণ সম্পাদক এস এম আব্দুল গফুর, ডিজিটাল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি সাধারণ সম্পাদক শেখ আবদুস সালাম মিয়া, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি মহাসচিব, মো. মাহাবুবুল আলম, মহিউদ্দিন খন্দকার, মোহাম্মদ আলী আক্কাছ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।