ধলাই ডেস্ক: ছিনতাইকারীদের কবল থেকে মোবাইল ফোন রক্ষা করতে গিয়ে সিলেটে খুন হন আমির হোসেন। খুনের ঘটনায় আটক দুই ছিনতাইকারী বুধবার সন্ধ্যায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পরে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার জেদান আল মুসা এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেল খুনের ঘটনায় জড়িত ছিনতাইকারী দক্ষিণ সুরমার ভার্থখলা এলাকার মির্জা আফতাবুল ইসলামের ছেলে মির্জা আতিক এবং মোগলাবাজারের টিলাপাড়া এলাকার মো. শামছু মিয়ার ছেলে আওলাদ হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। একইসঙ্গে খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিকশাও উদ্ধার করা হয়।
আসামিদের জবানবন্দির বরাত দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা জেদান আল মুসা জানান, গত ২৬ মে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে নগরীর সুবিদবাজারে আমিরের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে ছিনতাইকারীরা। এ সময় আমির হোসেন তার মোবাইল ফোন রক্ষা করতে ছিনতাইকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু করলে এক ছিনতাইকারী ছুরিকাঘাত করে তাকে ফেলে দিয়ে মোবাইল ফোন নিয়ে চলে যায়। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে আমির হোসেন মারা যান।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে কদমতলী পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছিনতাইকারী মির্জা আতিককে গ্রেফতার করে। তার দেয়া তথ্যানুযায়ী নগরীর জিতু মিয়ার পয়েন্ট এলাকা থেকে আওলাদ হোসেনকে গ্রেফতার করে। বুধবার সন্ধ্যার দিকে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর গত গত ২৬ মে সিলেট নগরীতে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে আমির হোসেন নামে এক যুবক খুন হন। সে নগরীর সুবিদবাজার এলাকার সুলতান আহমদের ছেলে।