শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু
ধলাই ডেস্ক: দেশজুড়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা শুরু হয়েছে। আজ সোমবার সারা দেশের মন্দিরে দেবী দুর্গার অবতার (বোধন) দিয়ে শুরু হয়েছে ষষ্ঠী। আগামী ১৯ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে পাঁচ দিনব্যাপী এ উৎসবের শেষ হবে।
এদিকে দুর্গোৎসব উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে পূজা পালনের জন্য এরই মধ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সোমবার সকাল থেকেই মন্দিরে মন্দিরে শোনা যাচ্ছে উলুধ্বনি, শঙ্খ, কাঁসর এবং ঢাকের বাদ্য ও চণ্ডিপাঠে মুখরিত হয়ে ওঠে মণ্ডপ এলাকা।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দেওয়া তথ্য মতে, চলতি বছর সারা দেশে ৩২ হাজার ১১৮টি মণ্ডপে হবে দুর্গা পূজা। গত বছরের চেয়ে এবার পূজার সংখ্যা বেড়েছে ১ হাজার ৯০৫টি। ঢাকা মহানগরে এ বছর পূজা হবে ২৩৮টি মণ্ডপে, যা গত বছরের চেয়ে ৪টি বেশি।
রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে সরেজমিনে দেখা গেছে, ভোর থেকেই ঢাকেশ্বরীতে শুরু হয়েছে পূজার কার্যক্রম। সকালে মন্দিরের বেলতলায় জবা, শিউলিসহ বিভিন্ন ফুল দিয়ে কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজার মাধ্যমে দেবী দূর্গাকে আমন্ত্রণ জানান পুরোহিতরা। এসময় অঞ্জলি দিতে উপস্থিত হয়েছেন দেবী ভক্তরা। অঞ্জলি শেষে প্রসাদ বিতরণ করা হয়েছে। ঢাকেশ্বরী মন্দির মেলাঙ্গনে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে খোলা হয়েছে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ।
এদিকে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের প্রতিটি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ, আনসার, র্যাব ও বিডিআর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। পুলিশ এবং র্যাবের পাশাপাশি প্রায় প্রতিটি মন্ডপে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীও নিয়োজিত থাকবেন।
হিন্দু পুরাণ মতে, দুর্গাপূজার সঠিক সময় বসন্তকাল। তবে বিপাকে পড়ে রামচন্দ্র, রাজা সুরথ ও বৈশ্য সমাধি সে পর্যন্ত অপেক্ষা না করে শরতেই দেবীকে অসময়ে জাগিয়ে পূজা করেন। সেই থেকে অকালবোধন হওয়া সত্ত্বেও শরৎকালেই দুর্গাপূজা পালনের প্রচলন হয়।