ডেস্ক রিপোর্ট: হুজুর সেজে ধর্ষণ মামলার আসামি রেজওয়ান মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে পুলিশ। শনিবার বিকেলে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের বালিপাড়া গ্রামে অভিনব কৌশলে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রেজওয়ান জৈন্তাপুরের দরবস্ত ইউনিয়নের শুকইনপুর গ্রামের আহমদ আলীর ছেলে।
জানা গেছে, রেজওয়ান নিজের ভাতিজিকে অপহরণ করে নিয়ে দূরবর্তী গ্রামের এক সিএনজি অটোরিকশাচালকের বাড়িতে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ধর্ষিতার পিতা সামাজিকভাবে বিচার চেয়েও ন্যায়বিচার পাননি।
অপরদিকে, ধর্ষণের ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে এবং ধর্ষণের আলামত নষ্ট করতে বিচারের নামে স্থানীয় ইউপি সদস্য সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন।
ন্যায়বিচার না পেয়ে অবশেষে ভিকটিম বাদী হয়ে ঘটনার ২ মাস পর গত ১৭ জুলাই জৈন্তাপুর মডেল থানায় ধর্ষক রেজওয়ানকে প্রধান আসামি করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ সরেজমিন তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পায় এবং ধর্ষক রেজওয়ান ইতোপূর্বে এ ধরনের একাধিক অপকর্ম করে কারাভোগ করেছে বলে তথ্য বেরিয়ে আসে। কারাভোগ করে বের হওয়ার কিছুদিনের মধ্যে সে ভাতিজিকে অপহরণ করে আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনা ঘটায়।
পুলিশ গত ১৮ জুলাই ভিকটিমের লিখিত অভিযোগটিকে মামলা হিসেবে গণ্য করে যার নম্বর- ৮/১০৪। মামলার প্রকৃত রহস্য অনুসন্ধান ও ধর্ষক রেজওয়ানকে আটকের জন্য পুলিশের একাধিক টিম উপজেলা বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চতুর ধর্ষক পালিয়ে যায়।
এদিকে, পুলিশ ঘটনার প্রকৃত রহস্য অনুসন্ধান করতে মামলাটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করে এবং ধর্ষককে আটক করতে মরিয়া হয়ে উঠে পুলিশ। অবশেষে পুলিশ আসামিকে গ্রেফতার করতে ছন্দবেশ ধারণ করে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করতে থাকে।
এক পর্যায়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার এসআই আজিজুর রহমান হাজীর বেশ ধারণ করে শনিবার বেলা ৩টায় উপজেলার ফতেপুর (হরিপুর) ইউনিয়নের বালিপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষক রেজওয়ান মিয়াকে আটক করেন।
জৈন্তাপুর মডেল থানার ওসি শ্যামল বণিক ধর্ষককে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষক রেজওয়ান ইতোপূর্বে এ ধরনের অপরাধ করে কারাবরণ করেছে। কারাবরণ করে বের হয়েই সে আবার এই ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।
আসামিকে রোববার আদালতে নিয়ে রিমান্ড চাওয়া হবে বলেও জানান ওসি শ্যামল বণিক।