ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স কোয়ার্টার মতিঝিলে গত ১৪ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ২ঃ৩০টায় সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালায় বলে খবর পাওয়া গেছে। রাত আনুমানিক ২ঃ০০ টায় ১২ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স কোয়ার্টারে প্রবেশ করে এবং বাড়ির সদর দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। সন্ত্রাসীরা জনাব শফিকুল ইসলামের মাথায় ও শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে গেলে সন্ত্রাসীরা তার স্ত্রী ও দুই কণ্যাকে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করে। পরবর্তীতে প্রতিবেশীরা তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সন্ত্রাসীরা তার বাড়ি হতে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নথী,ল্যাপটপ সহ নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে।
উল্লেখ্য, জনাব মোঃ শফিকুল ইসলাম বাংলাদেশ অর্থ মন্ত্রণালয়ের গঠিত ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের প্রধান তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। আগামী ২ রা নভেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করাকে কেন্দ্র করে এ হামলা হয়েছে বলে অভিমত তার সহকর্মীদের। বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল বিষয়টি নিয়ে মতিঝিল থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করতে গেলে বিষয়টি তারা আমলে না নিয়ে অভিযোগপত্রটি গ্রহন করেন নি। বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলয়েয়ার কাউন্সিল সভাপতি জনাব মোঃ নাজমুল হাসান বলেন,”জনাব মোঃ শফিকুল ইসলাম ২০১৫ সালে অর্থ মন্ত্রণালয়ের গঠিত মানি লন্ডারিং ইনভেস্টিগেশনের প্রধান তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। ২০১৫ হতেই তিনি নানাভাবে সরকারী বিভিন্ন মহল এবং নানারকম প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ কতৃক নানারকম হুমকি পেয়ে আসছিলেন। ইতিপূর্বে বিষয়গুলো বাংলাদেশ পুলিশ ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রশাসনকে অবগত করা হলেও এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। যার প্রেক্ষিতে অাজ এত বড় হামলার শিকার জনাব মোঃ শফিকুল ইসলামের পরিবার। চলমান ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানে সরকার দলীয় বেশ কিছু প্রভাবশালী মন্ত্রী- এম পি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে নানারকম রাজনৈতিক চাপে পড়ে তদন্ত কমিটির সকল সদস্য। তদন্ত প্রতিবেদন জমার বিষয়টি প্রতিহত করতেই এই হামলা চালানো হয়েছে।” বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর ও মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলে তারা এ বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলতে রাজি হননি।